Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপির ৭ দাবি, ১২ লক্ষ্য ঘোষণার জনসভা রোববার


২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৪৫

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দীর্ঘ ১০ মাস ১৮ দিন পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পেয়ে বড় ধরনের শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সর্বশেষ গত বছর ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল দলটি। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন।

এরপর গত সাড়ে ১০ মাসে বিভিন্ন ইস্যুতে অসংখ্যবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা, সমাবেশ এবং প্রতিবাদ সভার অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। কিন্তু বরাবরই সেই তা প্রত্যাখান করেছে ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ কমিশন (ডিএমপি)। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে কখনো নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে, কখনো বা মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে দলটি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতা বলেন, ‘রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে সমাবেশ নয়। সোহরাওয়ার্দীতে মঞ্চ করে দেব। সবাই সেখানে সমাবেশ করবে।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, সাড়ে ১০ মাস পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করার অনুমতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিফলন।

এদিকে দীর্ঘদিন পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পেয়ে বড় শো-ডাউনের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যৌথসভা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

ওই যৌথসভা শেষে তিনি বলেন, ‘জনসভা সফল করতে বৃহত্তর ঢাকা জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আমরা ভালো একটা জনসভা করতে পারব।’

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সমাবেশের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি শেষ। বৃহত্তর ঢাকা জেলা ও অঙ্গসংগঠন— সবাই মিলে প্রস্তুতি নিয়েছে।’

কিন্তু জনসভার মূল এজেন্ডা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভী— কেউ-ই পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুজনই বলেছেন, ‘বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এটা আমাদের দলীয় কর্মসূচি। জনসভার দিনই আপনারা সবকিছু দেখতে পাবেন।’

তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জনসভা থেকে সাত দফা দাবি ও ১২টি লক্ষ্য’র কথা ঘোষণা করবে বিএনপি। দাবিগুলো হচ্ছে— খালেদা জিয়ার মুক্তি, সাজা বাতিল, দলটির নেতাকর্মীর নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন মামলা না দেওয়া, তফসিলের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া ও সরকারের পদত্যাগ, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ না করা, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএম ব্যবহার না করা।

বিএনপির জনসভা থেকে সাত দফা দাবির পাশাপাশি ১২টি লক্ষ্যও জাতির উদ্দেশে তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছ। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসন নিশ্চিত করা, প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দলীয়করণের বদলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারপতি নিয়োগ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক ও শক্তিশালী করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ, কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদকে মদদ না দেওয়া, কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেওয়া এবং আয়ের বৈষম্য অবসানকল্পে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়গুলোই তো আসবে। নির্বাচন সামনে রেখে এই বার্তা-ই তো দিতে হবে।’

সারাবাংলা/এজেড/একে

আরও পড়ুন

সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি
সমাবেশের অনুমতি পেয়ে মাঠ পরিদর্শনে বিএনপি নেতারা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর