Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেগে ওঠা চরের উন্নয়নসহ ১৬ প্রকল্পের অনুমোদন


২ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৪১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চরের উন্নয়নসহ ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ৪ হাজার ৭ শ ৪৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ শ ৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, আইএমইডির সচিব মফিজুল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বঙ্গোপসাগরের জেগে ওঠা নতুন চরে বনায়নের সময় অন্যান্য গাছের সঙ্গে নিম, বট ও বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে পাখিদের খাদ্যের যোগান হয়।

এ ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করতে দেশেই প্রি-পেইড মিটার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের নদীগুলো যদি ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং করা হয়, তাহলে সেগুলো সত্যিকারের অর্থনৈতিক কাজে লাগবে। আমরা সে পথেই এগুচ্ছি।

অনুমোদিত প্রকল্প গুলোর মধ্যে, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। দ্য ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ শ ২০ কোটি ২২ লাখ টাকা।

ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ শ ৩৯ কোটি টাকা।

মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ৮ লাখ টাকা।

শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি ও ইকো পার্ক স্থাপন, রাঙ্গুনিয়া, চট্রগ্রাম (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ শ ০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ শ ৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের পারকি ও পতেঙ্গায় পর্যটন সুবিধা প্রবর্তন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

সালনা (রাজেন্দ্রপুর) কাপাসিয়া-টোক-মঠখোলা মহাসড়ক (আর-৩১২) প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

মিরপুর ডিওএইচএস গেইট-২ থেকে মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ শ ৪৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশাকান্দি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি সেতুর স্থলে ৭টি সেতু এবং নিয়ামতপুর-তাহিরপুর সড়কের আবুয়া নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

পুলিশ বিভাগের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এনকম ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ২ লাখ টাকা।

বানৌজো শেরে-ই-বাংলা পটুয়াখালী স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. এলাকার জন্য স্মার্ট-প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এ ছাড়া শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন গোপালগঞ্জ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ শ ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

সারাবাংলা/জেজে/এমআই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর