Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাজনীন হত্যা : শহীদের ফাঁসি রাতেই


২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:৫৫

সারাবাংলা প্রতিবেদক

১৯ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে আলোচিত ধর্ষণের পর হত্যা মামলার অবসান হতে চলেছে। ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি শহীদের ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে বুধবার রাতেই। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচিত শাজনীন হত্যা মামলার একমাত্র ফাঁসির আসামি শহীদের দণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। বুধবার রাত ১০টার মধ্যেই এ দণ্ড কার্যকর করার কথা রয়েছে। এ জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

এদিকে কাশিমপুর কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাত ১০টা ০১ মিনিটে আসামি শহীদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।  সিভিল সার্জন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ ফাঁসি কার্যকরের সময় যারা উপস্থিত থাকবেন এমন সকলকে ডাকা হয়েছে।

১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাসায় ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের একমাত্র মেয়ে ১৫ বছর বয়সী শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণের পর নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ, হত্যা ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে ছয় আসামির ফাঁসির দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাজনীনের বাসার গৃহকর্মী শহীদ, বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তার সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন মিনু ও পারভিন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে শনিরামকে ছাড়া বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। ২০১৬ সালের ২ আগস্ট আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর ও শহীদের জেল আপিল খারিজ করে দেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদ-াদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন শহীদ এ বছরের যা ৫ মার্চ আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যায়।

এরপর পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কারাগারে গেলে শহীদ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। সেটিও নাকচ হয়ে যায়। এরপরই দণ্ড কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, শাজনীন ছিলেন একজন ভাগ্যহত ১৫ বছরের এক কিশোরী। যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান অর্থাৎ তার নিজের বাসার শয়নকক্ষে ছিলেন। যেখানে শাজনীনকে শহীদ সুরক্ষা প্রদান করার কথা ছিল কিন্তু তা না করে ধর্ষণ করার পর নির্মম ও অত্যন্ত অমানবিকভাবে হত্যা করেছে। এটি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। তাই নমনীয় দ- দেওয়া হলে তা হবে ভুল জায়গায় সহানুভূতির প্রদর্শন ও ন্যায়বিচারের ব্যত্যয়।

জেইউ/একে

শাজনীন হত্যা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর