জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার রায় বিষয়ে আদেশ আজ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৪৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ করে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে আজ রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদেশ দেবেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় বিচারকের বিরুদ্ধে দুই আসামির অনাস্থা ও মামলার আসামি মনিরুল ইসলাম খানের জামিন স্থায়ীর বিষয়েও আজ আদেশ দেবেন আদালত।
গত বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান আদেশের জন্য আজকের এই দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে, শুরুতে মনিরুল ইসলামের আইনজীবী আক্তার হোসেন আগের মতোই তার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন। আর আদালতের প্রতি অনাস্থার বিষয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন— এজন্য মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করেন। ওই দিন খালেদা জিয়া ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও মামলা চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। পরে বিচারক মামলার যুক্তিতর্ক শেষ করে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হবে কিনা, সে জন্য বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ঠিক করে দেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী, তার এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি। খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
এদিকে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার এই মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায় হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে জানান তার আইনজীবী ও বিএনপি নেতারা। ওই সময় থেকেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেননি তিনি। পরে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে বিশেষ আদালতটি কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি শুরু হয়। তবে প্রথম দিনই খালেদা জিয়া হাজির হয়ে জানান, শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারবেন না। আদালত তাকে যা খুশি সাজা দিতে পারে। তার অনুপস্থিতিতেই এখন এই মামলার কার্যক্রম চলছে আদালতে।
সারাবাংলা/এআই/টিআর