Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুপুরে বিএনপির সমাবেশ, পুলিশের কড়া নিরাপত্তা


৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৪১

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে সমাবেশকে ঘিরে এর আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য। একইসঙ্গে রায়ট কার, এপিপি কারসহ জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুলিশ বলছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হলে তাদের পক্ষ থেকে কিছু বলার থাকবে না। তবে সমাবেশ থেকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ২টা থেকে সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও এরই মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে, রাজধানীর মৎসভবন, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট চত্বর মোড় ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এসব এলাকায় আরও রয়েছে রায়ট কার, এপিসি কারসহ জলকামানও।

আরও পড়ুন- বিএনপির ৭ দাবি, ১২ লক্ষ্য ঘোষণার জনসভা রোববার

এর বাইরেও রাজধানীর কাকরাইল মোড়, হোটেল রূপসী বাংলা মোড়, কাটাবন, পল্টন, বিজয়নগর এলাকাতেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ সুত্র জানায়, রোববারের সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ গাড়িতে হাত দেওয়া, রাস্তা বন্ধ করা, পুলিশের গায়ে হাত দেওয়াসহ ন্যূনতম বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে তাদের দমন করতে পুলিশ অ্যাকশনে যাবে। আর তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে চলে গেলে সে ক্ষেত্রে পুলিশ তাদের কিছুই করবে না।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, সব ধরনের অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে মাঠে কাজ করছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বিএনপির সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ বলছে, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হলেই জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে। তাছাড়া গা ঢাকা দিয়ে থাকা বিভিন্ন মামলার আসামিদের কেউ সমাবেশে এলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, বিভিন্ন মামলার আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে অবস্থান নিয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকজন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে চলে যাবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এর বিপরীত কিছু করার চেষ্টা করলে পুলিশও বসে থাকবে না। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তারা যদি বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করে শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাবে, পুলিশ কাউকে কিছুই বলবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার আসামি কেউ যদি সমাবেশে আসে, পুলিশ তো তাকে ধরবেই। শুধু সমাবেশ কেন, পুলিশ আসামিকে যেখানে পাবে সেখান থেকেই পাকড়াও করবে— এটাই স্বাভাবিক।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর