Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিমানে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের কর্মবিরতি, বলাকা ঘেরাও


৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:২১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: দীর্ঘদিনের অস্থায়ী চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাজুয়াল (অস্থায়ী) শ্রমিকরা। এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয় ‘বলাকা’ও ঘেরাও করেছেন তারা। শ্রমিকদের এই কর্মবিরতিতে এরই মধ্যে প্রভাব পড়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শিডিউলে। ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে নিজস্ব জনবল দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে সিভিল এভিয়েশনকে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা শুরু করেন এই কর্মবিরতি। অস্থায়ী শ্রমিকদের নেতা মোহাম্মদ হানিফ সারাবাংলাকে বলেন, তারা বলাকার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

কর্মবিরতিতে যাওয়া বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা বলছেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিমানের নতুন অর্গানোগ্রাম পাস হয়। গত কয়েকবছর ধরে নতুন অর্গানোগ্রামে এই ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের স্থায়ী করার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তা হয়নি। সে কারণেই শেষ পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান শ্রমিকরা।

অস্থায়ী শ্রমিকদের নেতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ২২/২৩ বছর ধরে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি ঝুলে আছে। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, নতুন অর্গানোগ্রামে এই শ্রমিকদের স্থায়ী করা হবে। কিন্তু সেটাও করা হয়নি। ফলে কর্মবিরতিতে যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিল না।

জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বরও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিমানের ৭০০ ক্যাজুয়াল পে গ্রুপ (৩/১) ও (৩/২) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের (পে গ্রুপ-১) ১৮০০ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিমান ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা (পে গ্রুপ-১) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় উভয় মন্ত্রীই তাদের চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেন। এরপরও ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের স্থায়ী করতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না থাকায় কর্মবিরতিতে যান তারা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৈনন্দিন কার্যক্রমে। সকাল থেকেই বেশকিছু ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হয়েছে। শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে সিভিল এভিয়েশন তাদের নিজস্ব জনবল দিয়ে কাজ করাচ্ছে।

সারাবাংলা/জেএ/টিআর

ক্যাজুয়াল শ্রমিক বিমান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর