যথাযথ উদ্যোগ বাঁচাতে পারে জীবাণু সংক্রমণের ৩৫ শতাংশ রোগীর জীবন
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:২৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: উন্নত বিশ্বে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) সংক্রমণজনিত মৃত্যুহার যেখানে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বাংলাদেশে সেই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি। অথচ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যথাযথ উদ্যোগ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সংক্রমণজনিত মৃত্যুহার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষেই এমনটা হলে সংক্রমণজনিত মৃত্যু থেকে শতকরা ৩৫ শতাংশ রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত রোগ জীবাণু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগ ও মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ইনফেকশন কন্ট্রোল বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও যথাযথ প্রটোকল মেনে চলার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণজনিত মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব।
সেমিনারের সূচনা বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে কামরুল হুদা বলেন, রোগীর দেহে রোগ-জীবাণু সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতপক্ষে, আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীর দেহে জীবাণু সংক্রমিত হলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। তবে রোগীর দেহে জীবাণু সংক্রমণ অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব, উন্নত দেশগুলো এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
আর এজন্য রোগ জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে রোগীকে স্পর্শ করার আগে জীবাণুমুক্তকরণ উপাদান দিয়ে হাতধোয়া শতভাগ নিশ্চিত করা, বর্জ্য অপসারণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করাসহ হাত ধোয়ার স্থান উন্নত করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডা. এ কে কামরুল হুদা। তিনি বলেন, এ ছাড়াও বায়ু বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াসহ বাইরের বাতাস ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া এমন আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ অবকাঠামো নিয়ে আইসিইউ নির্মাণ করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
সেমিনারে অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আকতারুজ্জামান, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার এর ইনফেকসাস ডিজেজেস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক টেতসুয়া মাতসুমোটো, সংক্রামক রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইয়াসুউকি কাটোসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/জেএ/এমআই