গোপন অডিও প্রকাশের অভিযোগে ঢাবি শিক্ষককে অব্যাহতির সুপারিশ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৫৯
।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউল করিমকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সুপারিশ করেছে বিভাগ কর্তৃপক্ষ। বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে গোপন বিষয় আলোচনা ও তা রেকর্ড করে গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির বৈঠকে গত বুধবার (২৬ সেপ্টম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভাগ কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছে।
তবে ওই শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাশাপাশি ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসরীন ওয়াদুদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউল করিম মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গোপন বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসরীন ওয়াদুদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউল করিম গোপনে ওই কথোপকথন রেকর্ড করে অডিও আকারে এক বছর পর বিভিন্ন জায়গায় পাঠান।
চিঠিতে জানানো হয়, অডিও রেকর্ডটি ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় সকলকে শোনানো হয় এবং রেকর্ডটি সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। আলোচনার পরে জানা যায় অধ্যাপক রেজাউল করিম চেয়ারম্যান তার মধ্যে কথোপকথন গোপনে গোপনে রেকর্ড করেছেন যা তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন। অনুমতি ছাড়াই গোপনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অধ্যাপক ড. নাসরীন ওয়াদুদের অফিসিয়াল গোপনীয় কথোপকথন রেকর্ড করা প্রথমত পেশাগত অনৈতিক কার্যকলাপের শামিল এ ছাড়া দ্বিতীয়ত আইসিটি আইন ২০০৬ এর ৫৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কারণে অধ্যাপক রেজাউল করিমের পেশাগত কার্যকালাপের কারণে তার সঙ্গে পেশাগত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে অ্যাকাডেমিক কমিটির সকল সদস্য মনে করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা কথা। আমি কোনো গোপনীয়তা লঙ্ঘন করিনি। অ্যাকাডেমিক কমিটির কোনো এখতিয়ার নেই আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার। তাছাড়া অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। আর গোপনীয় বিষয় প্রকাশ করেছি এটি প্রমাণ করতে পারবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি দেখব। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/কেকে/একে
অডিও রেকর্ড প্রকাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি শিক্ষককে অব্যহতি