Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এস কে সিনহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু


১ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:২৩ | আপডেট: ১ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৫৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিদেশে অর্থ পাচার ও বাড়ি কেনার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১ অক্টোবর) দুপুরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংস্থাটির সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ তার সহকারী হিসেবে থাকছেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস। আর দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এই অনুসন্ধানে তদারক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে নগদ ২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারে ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকায়) ৪ হাজার বর্গফুটের বাড়ি কেনা ও বিদেশে অর্থপাচার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় দুদক ।

এর আগে, এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে আত্মসাৎ ও পে-অর্ডারে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা জমা দেওয়ার অভিযোগে ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে দুদকের পরিচালক ও অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদ করেন চলতি বছরের ৬ মে।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, চার কোটি টাকা সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল। সিনহা তার লেখা বইয়েও এই টাকার বিষয়ে ব্যাখা দিয়েছেন। সিনহা জানিয়েছেন, বাড়ি বিক্রির ৬ কোটি টাকার মধ্যে চার কোটি টাকা তার ব্যাংকে জমা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়েও লিখেছেন সিনহা তার বইয়ে।

তবে দুদক তদন্তের বিষয়ে সরাসরি সাবেক প্রধান বিচারপতির নাম উল্লেখ করছে না। এমনকি দুদকের চিঠিতে তার নাম উল্লেখ না করে তাকে ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংক লি.-এর কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ওই টাকা ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ’ এক ব্যক্তির নামে হস্তান্তর দেখিয়ে আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারমার্স ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকে ২৬ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়। সেদিন তাদের প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা। পরে ওই ছয় কর্মকর্তাসহ ফারমার্স ব্যাংকের আরও এক কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় দুদক।

‘ফারমার্স ব্যাংকের চার কোটি টাকা কেলেঙ্কারি’ প্রসঙ্গে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ঋণ দেওয়া ও ঋণের টাকা অন্য কোথাও যাওয়ার ঘটনার অনুসন্ধান চলছে। সেই চার কোটি টাকার ব্যাপারে আপনারা এক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন (সেই টাকা এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে)। আমরা কিন্তু সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কিছু বলিনি। তদন্ত চলছে। এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে/এমও

আরও পড়ুন

সিনহার নামে ৪ কোটি টাকা, ফারমার্স ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাকে তলব

ফারমার্স ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় দুদকের নিষেধাজ্ঞা

এসকে সিনহা দুদকের অনুসন্ধান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর