টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তার ১০ বছর কারাদণ্ড
১ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৩৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: টাকা আত্মসাতের মামলায় স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (প্রধান শাখা) সিনিয়র অফিসার (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) মোছা. জাকিয়া সুলতানাকে দুই ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
সোমবার (১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
পেনাল কোডের ৪০৯ ধারার অভিযোগে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
অপর আরেকটি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তাকে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ব্যাংকের আত্মসাৎকৃত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
তবে আসামির উভয় সাজা একত্রে চলিবে বলে এ রায় উল্লেখ করা হয়েছে। সে হিসেবে তাকে ৫ বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডর প্রধান শাখা (দিলকুশা ) এর সিনিয়র অফিসার মোছা. জাকিয়া সুলতানা কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১০ সালের ২৩ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিধিবহির্ভূতভাবে শাখার ৪৭ জন গ্রাহকের সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাব হতে মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ টাকা তার নিজের হিসাবে, স্বামীসহ নিজের যৌথ হিসাবে এবং তার ভাইয়ের নামে খোলা হিসেবে স্থানান্তর পূর্বক উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
তাছাড়া ৮ টি ডাবল বেনিফিট ও লাখপতি স্কীম হিসাব গ্রাহকের অনুকূলে মেয়াদ পূর্তীর পূর্বে ভাঙানোর সময় ওই স্কিম হিসাবসমূহে ইতিপূর্বে অধিক হারে জমাকৃত মুনাফা ফেরতকালে মোট ৫৪ হাজার ৭৩৫ টাকা ব্যাংকের ব্যয় হিসেবে জমা না করে আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর স্টেটমেন্ট চার্জ বাবদ শাখার ৮ জন গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ১ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করলেও ৭০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। সর্বমোট তিনি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে আসামিদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটির বিচারকালে আদালত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
ওই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আসাদুজ্জামান কামাল।
সারাবাংলা/এআই/এমও