Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আচরণবিধি লঙ্ঘন কিনা, দেখা হবে তফসিলের পর’


১ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৫৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি) আচরণবিধি লঙ্ঘণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। আর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মাথায় রেখেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে, গতকাল রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তার এমন বক্তব্য আচরণবিধি লঙ্ঘণের সামিল কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখনও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি। তাই এখনই আচরণবিধির মধ্যে যেতে পারব না। তফসিল ঘোষণার পরই কমিশন আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না— সেটা দেখবে। তার আগে দেখবে না।

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আচরণ বিধিমালাতে একটি বিধি আছে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কথা বলা আছে। যেখানে সরকারের সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’রা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। এটা বিদ্যমান আইনেই আছে। তফসিল ঘোষণার পর আমরা বিষয়গুলো দেখব। বিধিবহির্ভূত কিছু করা হলে নির্বাচন কমিশনের অ্যাকশন নেওয়ার সুযোগ তো আছেই।

কবিতা খানম বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান সবগুলো আইনই অত্যন্ত শক্তিশালী। আমরা যদি এর প্রয়োগ করি, তবে অবশ্যই শক্তিশালীভাবেই প্রয়োগ করা হবে। কারণ আইনের প্রয়োগটাই আসল। অনেক শক্ত আইন করে তার প্রয়োগ না করলে আইন যতই শক্তিশালী হোক, ফল পাওয়া যায় না। আইন যেহেতু আছে, প্রয়োগ অবশ্যই হবে।

বিজ্ঞাপন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে মাথায় রেখেই তফসিলের তারিখ ঘোষণা করবে। তবে এ ধরনের আলোচনা এখনও কমিশনে হয়নি। কমিশন সভায় তারিখ নির্ধারণ করে পরে ঘোষণা করা হবে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ইভিএমের বিষয়ে একটি প্রস্তাব রয়েছে। সাধারণভাবে ভোট নেওয়ার পাশাপাশি এটি ব্যবহার করা হবে। কমিশন যদি মনে করে, অল্প পরিসরে সীমিতভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তবেই ব্যবহার করা হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কতটুকু দক্ষ জনবল পাচ্ছি এবং ভোটারদের সচেতন করতে পারছি, তার ওপর নির্ভর করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কী পরিমাণ আসনে বা কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

কবিতা খানম বলেন, ইভিএম আইনি স্বীকৃতি পেলে ম্যানুয়েলে আইনের অপব্যবহারের ফলে যে শাস্তির বিধান ছিল, ইভিএমের ক্ষেত্রেও তা একই রাখা হয়েছে। আরপিওতে ১০ থেকে ১২টি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে নির্বাচনের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ ছিল, আগে অ্যাকসেপ্টেন্সের বিরুদ্ধেও আপিলের সুযোগ ছিল, তবে আইনে ছিল না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া একটা বিষয় আছে। ঋণখেলাপিদের সাত দিন আগে যেটা ছিল, এখন সেটা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

কবিতা খানম জাতীয়-নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর