।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন।
সোমবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজের করনিক মো. আনছার আলী দিহিদার (৫৫) ও শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি মো. শুকুর আলী শেখ (৩৫)।
আহতদের মধ্যে বাবুল শেখ (৩২) ও মঞ্জু বেগম (৪৫)-কে খুলনা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরকে আটক করা হয়েছে এবং তার লাইসেন্স করা অস্ত্রটিও জব্দ করা হয়েছে বলে।
স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের লোকজন প্রথমে বাবুল ও শুকুরকে বাজার থেকে ধরে কলেজ মাঠে নিয়ে মারপিট করে। পরে পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আনছার আলী, শুকুর ও বাবুলকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজুজ্জামান শুকুরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার।
তার স্ত্রী মঞ্জু বেগম এ খবর নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আনছার আলী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বলেন, বেলা ৩টার দিকে চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের লোকজন তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারিরা আনছার আলীকে ধরে পরিষদে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখে। মঞ্জু বেগমকেও পিটিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলে।
জানা গেছে, দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে মধ্যকার কোন্দলের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ মারমুখি অবস্থানে থাকে। এ বিরোধের জের ধরে চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের নেতৃত্বে আজ আনছার আলী দিহিদারসহ তার প্রতিপক্ষের ৩ জনকে মারপিট করা হয়।
ঘটনার পর থেকে দৈবজ্ঞহাটি বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সারাবাংলা/এমআই