Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাত্র ১৩ শতাংশ’


২ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৩৪

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ‘দেশের মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তবে ইন্টারনেট সম্পর্কে জানাশোনা রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ। শহরের ১৯ শতাংশ এবং গ্রামের ১১ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিটি পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লার্ন এশিয়া পরিচালিত ‘আফটার একসেস: আইসিটি একসেস অ্যান্ড ইউজ ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল সাউথ’ শীর্ষক সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। মুঠোফোন অপারেটর ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে নারী-পুরুষের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি বলেও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সের পুরুষের তুলনায় একই বয়সী ৩৪ শতাংশ কম নারীর নিজস্ব মোবাইল ফোন আছে এবং ৬২ শতাংশ কম নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ১৪ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। ১৭ শতাংশ অন্যান্য কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ পাবলিক ওয়াইফাই ব্যাবহার করে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বড় অংশই অসেচতন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা এখানে হয়রানির শিকার হয়।

দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষের মোবাইল ফোন আছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সিম কার্ড আছে ৭৬ শতাংশের। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ আছে এমন মানুষের সংখ্যা মাত্র ৪ শতাংশ। এর মধ্যে এক সিম ব্যবহার করেন এমন মানুষের সংখ্যা ৬৬ শতাংশ, ২ সিম আছে ৩০ শতাংশের, ৩ সিম আছে ২ শতাংশের ও ৪ সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ৩৩ শতাংশ মনে করেন কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। ১৫ শতাংশ মনে করেন ইন্টারনেটের গতি খুবই কম। ১৯ শতাংশের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। আর ৩০ শতাংশের কাছে ব্যবহারের মূল প্রতিবন্ধকতা ইন্টারনেটের খরচ। এছাড়া রয়েছে প্রাইভেসি ও নিজস্ব ভাষায় কন্টেন্ট না থাকার সমস্যা।

বাংলাদেশের ৪০টি জেলায় ১০০টি ওয়ার্ড এবং গ্রামে ২ হাজার পরিবার ও ব্যক্তির ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। এসব ব্যক্তির সাক্ষাতকার নেওয়া হয় ফেস টু ফেস।

অনুষ্ঠানে গবেষণার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন- লার্ন এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিলানী গালপায়া। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সর্বব্যাপী হয়ে উঠছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এবং এর ব্যবহার বিষয়ে তথ্য সরকার এবং সিদ্ধান্ত প্রণেতার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।’

গবেষণার বিষয়ে হিলানী বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যগুলো এ সংক্রান্ত ব্যবসা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সরবরাহ করা। এসব তথ্য রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করছে না। ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মানুষকেই এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বলতে ইউনিক ব্যবহারকারীদের বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যারা টানা ৯০ দিন একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের হার সবচেয়ে বেশি। ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মোবাইল ব্যবহারকারীর ২৭ শতাংশই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এক চতুর্থাংশেরও কম অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- লার্ন এশিয়ার সিনিয়র রিসার্চ ফেলো আবু সাইদ খান, গ্রামীণ ফোনের সিইও মাইকেল ফোলিও, রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের সিইও এরিক এস প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

ইন্টারনেট ব্যবহার ইন্টারনেটের মূল্য এশিয়া নারী

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর