জাতিসংঘ সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বিকেলে
৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:০৮
।। সারাবাংলা ডেস্ক।।
ঢাকা: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবেন। বুধবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার বিকেল ৪টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে সোমবার (১ অক্টোবর) সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে রওনা দেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি। পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রাণী ম্যাক্সিমা, এস্তোানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল এ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়ে।
পাশাপাশি, দূরদৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের পরিচালনা পর্ষদ তাকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে।
এছাড়াও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/এনআর/এমএইচ