জাবির আল-বেরুনী হল অফিসে ছাত্রলীগের তালা
৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৪২
।। জাবি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগের দুই হলের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে আল-বেরুনী হল প্রভোস্টের অপসারণের দাবিতে হলের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে হলটির ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে গত দুইদিন ধরে হলের দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের দুই হলের সংঘর্ষ শেষে হল অফিসের সকল কক্ষে তালা দেয় আল-বেরুনী হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একছাত্রীকে ‘উত্ত্যক্ত করা’কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার মধ্য রাতে আল-বেরুনী হল ও মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
সংঘর্ষ শুরু হলে তাৎক্ষণিক আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনকে জানানো হয়। তবে তিনি সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পরে ঘটনাস্থলে আসেন। এমনকি আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও কোন খোঁজ-খবর নেননি।
ওইদিন দিবাগত রাতে সংঘর্ষের ঘটনা শেষে প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে এলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে ওই রাতেই উত্তেজিত নেতাকর্মীরা হলের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও আল-বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র আবু সাদাত সায়েম বলেন, ‘আমরা হল প্রভোস্টের অপসারণের দাবি করছি। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেন না। হল সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না।’
আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘তারা আমার কক্ষে তালা দিয়েছিল। প্রথম দিকে অফিসের অন্যান্য কক্ষে তালা দেয়নি। এখন আমার কক্ষে তালা দিলে আমি কক্ষে ঢুকতে পারব না। কিন্তু অন্যান্য কক্ষে তালা দিলে তো অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এতে তাদেরই সমস্যা। তবে তারা আজ ২-৩ ঘণ্টার জন্য তালা খুলে দেয়। আমি বিভাগে বসে ফাইলে স্বাক্ষর করেছি।’
একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কেউ জানায়নি। হলের দায়িত্বরত গার্ড আমাকে সংঘর্ষের ঘটনা জানায়। আমি রেডি হতে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় নিয়েছি। আসলে ওই সময় তো আমার পক্ষে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব ছিল না। অন্ধকারে কেউ আমাকে চিনতো যে আমি কে। যদি আমার ওপরে আক্রমণ হতো।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘আমি ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারব না। আমি যদি এখন তাকে অপসারণ করি। তাহলে আমার বিরোধী একটি গ্রুপ আছে, তারা আন্দোলন শুরু করবে।’
সারাবাংলা/একে