জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, ফের উত্তেজনা
৬ অক্টোবর ২০১৮ ১২:২৪
।। জাবি করেসপন্ডেন্ট।।
জাবি: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই মাস আগে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের জের ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার নিলাদ্রী শেখর মজুমদার শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে ক্যাম্পাসে ফের সংঘর্ষের আশংকা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দুই বন্ধুসহ নিলাদ্রী শেখর মজুমদার বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের সামনের বটতলায় রাতের খাবার খেতে যান। এ সময় হঠাৎ কাজল, আশিকসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী এসে তাকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। মারধরকারীরা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী। মারধর শেষে নিলাদ্রীকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সোয়া ১০টার দিকে শহীদ সালাম-বরকত হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বটতলা এলাকায় অবস্থান নেয়। অপরদিকে মারধরকারী পক্ষের গ্রুপের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থান নেয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা শুনে রাতেই প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে রাত ১২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মারধরকারীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে হলে পাঠিয়ে দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের এক ছাত্রলীগ নেতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় সিনিয়ররা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ৪৫ ও ৪৬ ব্যাচের জুনিয়ররা মারধর করেছে। নিলাদ্রী শেখর মজুমদার শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের অনুসারী।
এ বিষয়ে জানতে নিলাদ্রী শেখর মজুমদারকে কয়েক দফা ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, মারধরের ঘটনা শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরে তাদের বুঝিয়ে হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে প্রায় প্রতিদিনই এ রকম ঘটনা ঘটে একেবারেই অনাকাক্ষ্ঙিত। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় শহীদ সালাম-বরকত হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চার জন আহত হয়।
সারাবাংলা/এমএইচ