যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, বিএসএমএমইউয়ে নিরাপত্তা জোরদার
৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৪৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। এ লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বিএসএমএমইউতে। এরই মধ্যে দুইটি ভিভিআইপি কেবিন প্রস্তুত করা হয়েছে খালেদা জিয়ার। সেসব কেবিনের আশপাশে নতুন সিসিটিভিও লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- অবশেষে খালেদা জিয়া যাচ্ছেন বিএসএমএমইউতে
বিএসএমএমইউ ও কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ৩টার পর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে বিএসএমএমইউতে। সে জন্য বিএসএমএমইউকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য। কেবিন ব্লকের মুখে প্রত্যেককে চেক করে তারপর ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে পারেন বিএসএমএমইউয়ে। সে কারণে এরই মধ্যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টির কেবিন ব্লকের ৬১১ ও ৬১২ নম্বর ভিভিআইপি কেবিন প্রস্তুত করা হয়েছে। বিএসএমএমইউয়ের পরিচালকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও কেবিন দু’টি পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় মালামালও নেওয়া হয়েছে কেবিন দু’টিতে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে একাধিক হুইল চেয়ারও। বিএসএমএমইউ পরিচালক নিজেও হুইল চেয়ারগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন।
বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের সবগুলো সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ৬১১ ও ৬১২ নম্বর কেবিনের আশপাশে নতুন কয়েকটি সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
এদিকে, খালেদা জিয়া আসবেন জেনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানুল্লাহ আমান, জয়নুল আবেদীনসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিএসএমএমইউয়ে আসেন। তবে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে ভর্তির পরামর্শ দেয় তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড। তবে খালেদা জিয়া পছন্দের চিকিৎসকের অধীনে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট আদেশ দেন, ওই মেডিকেল বোর্ডের তিন চিকিৎসককে পরিবর্তন করে খালেদা জিয়ার পছন্দমতো চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তারা স্বাচিপ বা ড্যাবের সদস্য হতে পারবেন না। পরে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাতে তাকে আদালতের এ আদেশ জানালে তিনি বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে নমনীয় হন। শনিবার সকালে জানা যায়, তিনি সরকারি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েই চিকিৎসা নিতে রাজি হয়েছেন।
সারাবাংলা/জেএ/টিআর