দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন মন্ত্রী মায়া
৮ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৫৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে সাজা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। দুদকের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন আদালত।
সোমবার (৮ অক্টোবর ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এই রায়ের বিষয়ে আপিল করা হবে কিনা, সে বিষয়ে কমিশনকে জানানো হবে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে আপিল করা হবে।’
এর আগে, জরুরি অবস্থা চলাকালে ২০০৭ সালের ১৩ জুন সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুটি ধারায় এ মামলায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করে আদালত।
ওই মামলার শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে জরিমানাও করেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন তিনি। আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর তার সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
এরপর হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করে দুদক। দুদকের ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করে দেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ।
একইসঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আপিল বিভাগের এ রায়ের রিভিউও পুনর্বিবেচনা আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ। পরে আপিল বিভাগে আদেশ অনুসারে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়। আজ সেই শুনানি শেষে এ রায় দেন।
সারাবাংলা/এমও/জেডএফ