‘কোটা বাতিল আদিবাসীদের পিছিয়ে দেবে’
৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৯
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাবি: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত তাদের পিছিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ’। সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আদিবাসী কোটা বহালের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক উইলিয়াম নকরেক বলেন, ‘অন্যান্য কোটা সম্পর্কে বিতর্ক ও ভিন্নমত থাকলেও আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা রাখার পক্ষে সবার মত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন নেতা, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজে এই অনগ্রসর জন্য কোটা রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সরকার কোটা উঠিয়ে দিল, যা এই জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দেবে। কোটার সংস্কার হতে পারে, তবে তা তুলে দেয়া আদিবাসীদের জন্য কল্যাণকর হবে না।’
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাসের ফলে আদিবাসীদের শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ভিন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির ফলে বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে ভালো ফল করা দুঃসাধ্য। তাদের মধ্যে ঝরে পড়ার হারও বেশি।’
উইলিয়াম নকরেক বলেন, ‘দেশে এখনও অনেক আদিবাসী সম্প্রদায় আছে যাদের কেউ এখনো সরকারি চাকরিতে আসতে পারেনি। এই অবস্থায় আদিবাসী কোটা বাতিল তাদের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করার শামিল।’ এসময় আদিবাসী কোটা বহালের দাবিতে আজ বিকাল ৪টায় রাজু ভাষ্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে বলেও জানানো হয়।
এছাড়া আগামী ৯ অক্টোবর সারাদেশে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন, ১০ অক্টোবর বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ ও ১৩ অক্টোবর শাহবাগে প্রতিবাদ গান ও সংহতি সমাবেশ করার ঘোষণাও দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সারাবাংলা/কেকে/এমও