Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পোশাকে ভর করে বড় প্রবৃদ্ধি রফতানি আয়ে


৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৫৩

ফাইল ছবি

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: পোশাকে ভর করে দেশের রফতানি আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে রফতানি আয় হয়েছে ৯৯৪ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। এর আগে প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এদিকে, হাজার কোটি ডলারের মধ্যে পোশাকেই রফতানি আয় ৮১৯ কোটি ডলার। সে হিসাবে, মোট রফতানির প্রায় ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাত থেকে। আর এই খাতটিতেও প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তবে অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশের কাছাকাছি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন ও পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে ঈদ ছিল। তাই সে বছরের তুলনায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে। তবে রফতানি আয় খুব একটা বাড়েনি।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, মৌসুমের ওপর নির্ভর করে রফতানি আয়। ফলে প্রথম তিন মাসের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধিতে সুখবর দেখা যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধিটা ভালো হওয়াই স্বাভাবিক। এখন প্রতিযোগিতার জায়গাটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমরা আরও ভালো করব।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমও সারাবাংলাকে প্রায় অভিন্ন কথা বলেন।

ইপিবি’র সর্বশেষ প্রতিবেদনের খাতওয়ারী তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তৈরি পোশাকে রফতানি আয় ৮১৯ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। ২০১৭-’১৮ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পোশাক রফতানি হয়েছিল ৭১৪ কোটি ডলারের। আর চলতি অর্থবছরে একই সময়ে গত অর্থবছরের চেয়ে পোশাক পণ্যের রফতানি বেড়েছে ১০৫ কোটি ডলার। এদিকে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) পোশাক পণ্যে রফতানি আয় ছিল ৫৭৩ কোটি ডলার। তখন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে নিটওয়্যার রফতানি হয়েছে ৪২০ কোটি ডলার। খাতটিতে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রথম তিন মাসে ওভেন গার্মেন্ট রফতানি হয়েছে ৩৯৮ কোটি ডলারের, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। হোম টেক্সটাইলে রফতানি আয় ২০ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। বাকি আয় এসেছে বেড কিচেন, টয়লেট ও অন্যন্য খাত থেকে। অর্থাৎ পোশাক রফতানিতে মাস ব্যবধানে  প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে, রফতানি আয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শীর্ষে আছে চামড়া ও পাটজাত পণ্য। গত তিন মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। একইসঙ্গে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। এ সময়ে এ খাত থেকে আয় এসেছে ২১ কোটি ডলার। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম হয়েছে। এ সময়ে আয় হয়েছে ২৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।

হিমায়িত চিংড়ির রফতানিও কমে গেছে। গত মাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ৯৭ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে কৃষিপণ্যে। এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ৭১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের তিন মাসে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআই/টিআর

পোশাক খাত প্রবৃদ্ধি রফতানি রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর