সতর্ক ও প্রতিরোধের বার্তা দিয়ে তৃণমূলকে আ.লীগের চিঠি
৮ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৫৪
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তি নানাবিধ সন্ত্রাসী তৎপরতার মধ্য দিয়ে আবারও নাগরিক জীবনকে বিপর্যস্ত করতে তৎপর হয়ে উঠছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণার কয়েকদিন আগে তৃণমূলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে এমন চিঠি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
চিঠিতে সরকারবিরোধী যেকোন তৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি রুখে দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠি বুধবার (৪ অক্টোবর) ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, থানা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর এমন চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের দুজন সাধারণ সম্পাদক চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন এবং তারা জানান, চিঠিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ধরনের অশুভ চক্রান্ত ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের আগে এই চিঠির নির্দেশনা পেয়ে আমরা ইতোমধ্যে সকল ইউনিটকে নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছি। আমরা সরকারবিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি।
কেন্দ্রের চিঠিতে তৃণমূলের উদ্দেশে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও প্রগতির শত্রু বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি পুনরায় তৎপর হয়ে উঠেছে। এই অশুভ শক্তি ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে নানাবিধ সন্ত্রাসী তৎপরতার মধ্য দিয়ে নাগরিক জীবনকে বিপর্যস্ত করেছিল। এবার যাতে এই ধরনের হত্যা, সন্ত্রাস নাশকতা নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে এবং ধ্বংসাত্মক তৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ পরিচালনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার ফলে শান্তি, গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
এ লক্ষ্যে উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে সমুন্নত রাখতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের সাথে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনাসহ বর্তমান সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করার নির্দেশনা দেয় আওয়ামী লীগ।
এ ধারাবাহিকতায় ১ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে চারটি টিমে বিভক্ত হয়ে গণসংযোগ শুরু করে আওয়ামী লীগ। নৌকার গণসংযোগের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের বিগত সময়ে আগুন সন্ত্রাস, দুর্নীতির কথা তুলে ধরে গণসংযোগ করে দলটি। বিশেষ করে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার আগে নেতা-কর্মীসহ রাজধানীবাসীকে সচেতন করতে গণসংযোগে নামে আওয়ামী লীগ।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই