ঢাকা বিভাগে বিএনপি-জামায়াত সেবার শূন্য, এবার কী?
৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৫৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে ঢাকা বিভাগের ৯৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি আসনেও জিততে পারেনি বিএনপি-জামায়াত জোট। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৮৭টি, জাতীয় পার্টি পাঁচটি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একটি আসনে জয় লাভ করে। ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলায় আসন শূন্য থাকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং তাদের শরিক দলগুলো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন দেশি-বিদেশি— সব মহলের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়।
এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি-জামায়াত জোট। তবে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে তাদের।
প্রশ্ন উঠেছে, গত দুই নির্বাচনে ঢাকা বিভাগে আসনশূন্য থাকা বিএনপি এবার কেমন করবে? পারবে কি শূন্য’র ফেরা কাটিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় লাভ করতে?
এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠন হওয়ায় কমে গেছে আসন সংখ্যা। এখন ঢাকা বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ৭০টি। এ ৭০টির মধ্যে কেবল ঢাকা জেলায়-ই আসন রয়েছে ২০টি। বাকি ১২টি জেলায় আসন সংখ্যা ৫০টি।
দেশের রাজনীতিতে একটি কথা বহুল প্রচলিত, ‘ঢাকা বিভাগ যার, ক্ষমতা তার!’ সঙ্গত কারণেই ঢাকা বিভাগের আসনগুলো নিজেদের দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপিও চায় ঢাকা বিভাগে ৭০টি আসনে আধিপত্য বিস্তার করতে। তাই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে সম্ভব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি।
জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরপর দু’টি নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি। সে কারণে ঢাকা বিভাগে বিএনপির ফলাফল ভালো হয়নি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিভাগে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিএনপি জয়লাভ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অখণ্ড ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবদুস সালাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০০৮ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন আছে। আর ২০১৪ তে তো নির্বাচন-ই হয়নি। সুতরাং ওই দুই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমরা ভাবছি না। আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ঢাকা বিভাগের ৭০-৮০% আসনে আমরা পাস করব।’
ঢাকা বিভাগের ৭০টি আসনে আওয়ামী লীগ–বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী
নারায়ণগঞ্জ–১ (রূপগঞ্জ): এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম দস্তগীর বীরপ্রতীক এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে টানা দুই নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ এবারও তার ওপরই ভরসা রাখছেন। আর বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া।
নারায়ণগঞ্জ–২ (আড়াইহাজার): এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, যুবলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল পারভেজ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মমতাজ হোসেন। আর বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ।
নারায়ণগঞ্জ–৩ (সোনারগাঁ): এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান। বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী খোকা এ আসনে লাঙলের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।
নারায়ণগঞ্জ–৪ (ফতুল্লা–সিদ্ধিরগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে আলোচিত আসন এটি। বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন। এ ছাড়া জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ, এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদও রয়েছেন আলোচনায়। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম।
নারায়ণগঞ্জ–৫ (সদর ও বন্দর): এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি এস এম আকরাম, জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদিরের নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীরা হলেন সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। লাঙল প্রতীক নিয়ে লড়বেন নাসিম ওসমান।
মানিকগঞ্জ–১ (দৌলতপুর–ঘিওর–শিবালয়): বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয়, যুবলীগ নেতা এসএম জাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিপি আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও এস এ জিন্নাহ কবীর, বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর নাম শোনা যাচ্ছে।
মানিকগঞ্জ–২ (সিঙ্গাইর–হরিরামপুর): এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, আওয়ামী লীগের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী স্থানীয় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত।
মানিকগঞ্জ–৩ (সদর–সাটুরিয়া): বর্তমান সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেইন খান টিটো, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদরুল আলম খান বাবলু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আর ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার নাম শোনা যাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ–১ (শ্রীনগর ও সিরাজদিখান): বর্তমান সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক. ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডব্লিউ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
মুন্সীগঞ্জ–২ (লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি): বর্তমান এমপি সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী দলটির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।
মুন্সীগঞ্জ–৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া): বর্তমান এমপি মৃণাল কান্তি দাস, সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব এম ইদ্রিস আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিস নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী স্থানীয় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
গাজীপুর–১ (কালিয়াকৈর): বর্তমান এমপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন শিকদার আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মুজিবুর রহমান ও হুমায়ুন কবির খান।
গাজীপুর–২ (গাসিক ও ক্যান্টমেন্ট): বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার, শ্রমিক দল নেতা সালাহ উদ্দিন সরকার।
গাজীপুর–৩ (শ্রীপুর–সদর): বর্তমান সংসদ সদস্য রহমত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
গাজীপুর–৪ (কাপাসিয়া): বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, তাজউদ্দিন আহমদের ভাই অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ উল্লাহ নৌকার সম্ভাব্য্য প্রার্থী।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির প্রয়াত নেতা আ স ম হান্নান শাহ’র ছেলে রিয়াজুল হান্নান, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন।
গাজীপুর–৫ (কালীগঞ্জ): প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, আবুল হাশেম খান পাঠান (নায়ক ফারুক), ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলন।
টাঙ্গাইল–১ (মধুপুর–ধনবাড়ী): বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবু, স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. ছানোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, কানাডা প্রবাসী বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মাহবুব ভূঁইয়ার (লতিফ) নাম শোনা যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল–২ (গোপালপুর–ভূঞাপুর): বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
টাঙ্গাইল–৩ (ঘাটাইল): বর্তমান সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদ, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি মাইনুল ইসলাম ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী।
টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী): সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী বেগম লায়লা সিদ্দিকী, বর্তমান সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারি, আওয়ামী লীগ নেতা আবু নাসের, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম এ খালিদ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম।
টাঙ্গাইল–৫ (সদর): বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ মো. ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমদ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু।
টাঙ্গাইল–৬ (নাগরপুর–দেলদুয়ার): বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আবদুল বাতেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইনসাফ আলী ওসমানী এবং ব্যবসায়ী সৈয়দ মাহমুদুল ইলা লিলু নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক প্রতিমস্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রবিউল আওয়াল লাভলু, বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।
টাঙ্গাইল–৭ (মির্জাপুর): বর্তমান সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, যুবলীগের সহ-সভাপতি জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক খান আহমেদ শুভ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, শিল্পপতি এ কে এম আজাদ স্বাধীন, কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী।
টাঙ্গাইল–৮ (সখীপুর–বাসাইল): বর্তমান সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জিএম আবদুল মালেক মিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ এ আসনে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। অপরদিকে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বদ্যিালয় (ময়মনসিংহ) ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইয়ার মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
কিশোরগঞ্জ–১ (সদর–হোসেনপুর): জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্ন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ হিলালি, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইসরাইল মিয়া ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ রাব্বানী ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
কিশোরগঞ্জ–২ (কটিয়াদি–পাকুন্দিয়া): বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম এ আফজাল, সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু ও আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসফাক আহমেদ জোন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী ভূঁইয়া ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
কিশোরগঞ্জ–৩ (তাড়াইল–করিমগঞ্জ): সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ কবীর আহমেদ, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ ও ব্যবসায়ী এরশাদ উদ্দিন নৌকার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. ওসমান ফারুক, জেলা যুব দলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমন ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
কিশোরগঞ্জ–৪ (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম): বর্তমান সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান মনোনয়ন প্রত্যাশী। অপরদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, প্রিন্সিপাল হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমীরুজ্জামান ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
কিশোরগঞ্জ– ৫ (নিকলী–বাজিতপুর): বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন স্থানীয় বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, সালেহুজ্জামানু খান রুনু, বাজিতপুর পৌর বিএনপির সভাপতি এহসান কুফিয়া।
কিশোরগঞ্জ–৬ (কুলিয়ারচর–ভৈরব): বর্তমান সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন ও মো. মুছা মিয়া নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। এ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী।
নরসিংদী–১ (সদর): বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু, আমেরিকার ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের নেতা আইয়ুব খান মন্টু নৌকার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন এবং জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনজুর এলাহী ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
নরসিংদী–২ (পলাশ): বর্তমান সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন, সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ, সাবেক মন্ত্রী নজরুল ইসলাম নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ধানের শীষের একক প্রার্থী।
নরসিংদী–৩ (শিবপুর): বর্তমান সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ খান নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
নরসিংদী–৪ (বেলাব–মনোহরদী): বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ হুমায়ূন মাহমুদ, মনোহরদী উপজেলার চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বীরু আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, লে. কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল এ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
নরসিংদী–৫ (রায়পুরা): বর্তমান সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, অ্যাড. রিয়াজুল কবীর কাউছার, ব্যারিস্টার তৌফিক এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আলী মৃধা, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট এ কে নেছার উদ্দিন।
ফরিদপুর–১ (বোয়ালমারী–মধুখালী–আলফাডাঙ্গা) বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, আলফাডাঙ্গা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আরিফুর রহমান দোলন এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বিএনপির একক প্রার্থী।
ফরিদপুর–২ (সালথা–নগরকান্দা): বর্তমান সংসদ সদস্য ও সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, তার ছেলে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু— এ দুইজনই নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বাবুল ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
ফরিদপুর–৩ (সদর): এ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জি. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
ফরিদপুর–৪ (ভাঙ্গা–সদরপুর–চরভদ্রাসন) ফরিদপুর–৪: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যানর বাদল আমীন, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজম ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী।
গোপালগঞ্জ–১ (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীর একাংশ): বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকুল বোস আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
গোপালগঞ্জ–২ (গোপালগঞ্জ সদরও কাশিয়ানীর একাংশ) বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এ আসনে নৌকার একক প্রার্থী। গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা এম এইচ খান মঞ্জু, এম মসুনসুর আলী ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী।
গোপালগঞ্জ–৩ (টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া): প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ আসনে নৌকার প্রার্থী। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এস এম জিলানী, আসাদুজ্জামান, উপজেলা বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন ধানে শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
মাদারীপুর–১ (শিবচর): সাবেক হুইপ ও বর্তমান এমপি নূর-ই-আলম লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। স্থানীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, সহ-সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী, সদস্য খলিলুর রহমান ঠাণ্ডু চৌধুরী, নুরুদ্দিন মোল্লা ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
মাদারীপুর–২ (সদর ও রাজৈর): নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান, জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
মাদারীপুর–৩ (কালকিনি ও সদরের একাংশ): বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। সাবেক ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী।
শরীয়তপুর–১ (সদর–জাজিরা): বর্তমান সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হাশেম তপাদার নৌকার সম্ভাব্য প্রাার্থী। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন কালু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলতাফ শিকদার ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
শরীয়তপুর–২ (নড়িয়া–সখিপুর): বর্তমান সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) শওকত আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ, কেন্দ্রীয় নেতা জামাল শরিফ হিরু, সাবেক মন্ত্রী টিএম গিয়াস উদ্দিন ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
শরীয়তপুর–৩ (ডামুড্যা–গোসারহাট–ভেদরগঞ্জ): প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রজ্জাকের ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। তারেক রহমানের পিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, বিএনপির প্রয়াত নেতা হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গের স্ত্রী তাহমিনা আওরঙ্গ ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
রাজবাড়ী–১ (সদর ও গোয়ালন্দ): সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মোহাম্মদ খৈয়ম, স্থানীয় বিএনপির সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম এ খালেক এ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
রাজবাড়ী–২ (পাংশা–কালুখালী–বালিয়াকান্দি): সাবেক সংসদ সদস্য নাছিরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ এ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–১ (দোহার ও নবাবগঞ্জ) প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, দলের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আবদুল মান্নান খান ও ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এ আসনে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এম এ মান্নান।
ঢাকা–২: বর্তমান সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আহমেদ নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী।
ঢাকা–৩: বর্তমান সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু এ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–৪: সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সমন্বয়কারী ড. আওলাদ হোসেন ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী সাইফুল ইসলাম।
ঢাকা–৫: বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না এ আসনে সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী দলটির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
ঢাকা–৬: ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু এবং সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. শাহিদ এ আসনটিতে নির্বাচন করতে আগ্রহী। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী।
ঢাকা–৭: বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এ আসনে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার এবং যুবদল নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–৮: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি হাবীব-উন-নবী-খান সোহেল ধানের শীষের একক প্রার্থী।
ঢাকা–৯: বর্তমান সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোজাফফর হোসেন পল্টু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন পলাশ আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ধানের শীষের একক প্রার্থী।
ঢাকা–১০: এ আসনে আওয়ামী লীগের এখন পর্যন্ত একক প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদ ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন ওয়াসীম ধানের শীষের একক প্রার্থী।
ঢাকা–১১: বর্তমান সংসদ সদস্য ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড কমিশনার ওসমান গণি, থানার সহ-সভাপতি তালাল রিজভী এ আসনে নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী।
ঢাকা–১২: বর্তমান এমপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, যুবলীগের প্রেসডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি ডা. এইচ বি এম ইকবাল নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির সহ অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহমেদ ধানের শীষের একক প্রার্থী।
ঢাকা–১৩: আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।
ঢাকা–১৪: বর্তমান এমপি আসলামুল হক আসলাম, দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মাজহার আনাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান বাচ্চু এ আসনে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। সাবেক সংসদ সদস্য এস এ খালেক বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–১৫: বর্তমান সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মেসবাউল হক সাচ্চু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর (উত্তর) সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–১৬: বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াসউদ্দিন মোল্লা, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এমএ মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মহিউদ্দিন এবং ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন নৌকার সম্ভব্য প্রার্থী। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী।
ঢাকা–১৭: এ আসনে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মো. ওয়াকিল উদ্দিন নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–১৮: বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজিমউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিব হাসান নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–১৯: বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান এনাম, সাবেক সংসদ সদস্য মুরাদ জং, যুবলীগ নেতা ফারুক হাসান তুহিন এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা–২০: বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল মালেক, সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, পৌর মেয়র গোলাম কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল আলীম খান সেলিম নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী।
আরও পড়ুন-
রংপুর: মাঠের লড়াইয়ে শক্তিশালী জাপা, আ.লীগে একাধিক প্রার্থী
ময়মনসিংহ: আ.লীগে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, এখনও সক্রিয় নয় বিএনপি
রাজশাহী: মাঠে-কেন্দ্রে তৎপর আ.লীগের একাধিক প্রার্থী, বসে নেই বিএনপিও
সারাবাংলা/এজেড/একে