‘বিএনপির লক্ষ্য ছিল বাংলা ভাই, জঙ্গি তৈরি করা’
৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৩৫
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ক্ষমতায় আসে তারা দেশের কোনো উন্নয়নই করেনি। তাদের প্রথম কাজ ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারা, তাদের বাড়িঘর জ্বালাও-পোড়া করা। বাংলা ভাই, জঙ্গি তৈরি করা ছিল তাদের লক্ষ্য। এরপর হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং তো আছেই। লুটপাত-দুর্নীতি করে নিজেদের সম্পদ বানানো ছিল তাদের লক্ষ্য।
নোয়াখালীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনে নোয়াখালী খাল পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী খাল পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নোয়াখালীতে সর্বপ্রথম গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নেন। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ যাতে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। স্বাধীনতার পর দেশের উন্নয়নে তিনি মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ৭৫ এ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
দীর্ঘ ২১ বছরের রাজনৈতিক পটপরিক্রমার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালের পর ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। এরপর ৮১ সালে দেশে এসে সারাদেশ ঘুরেছি। নোয়াখালী খালের কথা শুনেছি যে, এই খাল কাটলে সেখানে জলাবদ্ধতা থাকবে না। আমরা ক্ষমতায় এসে ৯৬ সালে একটি সমীক্ষা করি। আমাদের হাতে স্বাভাবিকভাবে সময় ছিল অনেক কম, মাত্র ৫ বছর। ৫ বছরে কতটুকু করা যায়? পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কোনো উন্নয়নই করেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জীবন থেকে ওইদিকে ২১ বছর, এদিকে ৭ বছর নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের জীবন থেকে মোট ২৮ বছর নষ্ট হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এসে এখন একের পর এক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নোয়াখালী খাল’ সংস্কার ও পুনঃখননের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পে নোয়াখালী খাল এবং জেলার ২৩টি খালের পুনঃখননসহ ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
২০২১ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জেলার প্রধান প্রধান খাল সমূহে নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সন্দ্বীপ চ্যানেলের বামতীর ভাঙন রোধ থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদ, সাইক্লোন শেল্টার, আবাদি জমি, ফসলাদি ও জানমাল রক্ষা পাবে।
২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী একনেক এর সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন করেন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করবে।
সারাবাংলা/একে