।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘বিএনপি তার জন্মের শুরু থেকে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেসঙ্গে বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন এটা দিবালকের মত স্পষ্ট। তাই এদেশে তাদের রাজনীতি করার আর কোনো সুযোগ নেই। তাদের এখনি রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় বক্তারা এই দাবি করেন। ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়: বিএনপির বৈধতা সংকট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে ‘সিটিজেন ফর রেসপনসিবল ডেমোক্রেসি’।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে তো বিশ্বাস করেই না, উল্টো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপেক্ষর শক্তির নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে বারবার সমূলে নিশ্চহ্ন করার চেষ্টা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দণ্ড হওয়ার মধ্যদিয়ে তাদের রাজনৈতিক ও দলীয় সংশ্লিষ্টতা আবারো প্রমাণ হয়েছে। এরপর বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার ও আইনগত বৈধতা থাকতে পারে না।’
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘২১ আগস্ট হামলার দিকে তাকালে দেখা যায় এটা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয় বরং দার্শনিক হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যেমন একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আর অন্য শক্তিটা হল বিএনপি, জামায়াত, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গি এই চারটা মিলে তৈরি নেক্সাস। এই নেক্সাস বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়েছে। যতদিন ক্যান্সার না সারানো যাবেন ততদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ সমস্যা থেকে যাবে।’
মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর বলেন, ‘দলীয় দায়িত্ব ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটানো সম্ভব নয়। এটা আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত।’
সভায় সারাবাংলা ডটনেট, দৈনিক সারাবাংলা ও গাজী টিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘বিএনপি জজমিয়া নাটক করে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সে সময় মশকরা করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আরেকটা মামলা হওয়া উচিত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পেছনে পাকিস্তান, আফ্রিকান জঙ্গিবাদ, বিএনপি, জামায়াত সবার ইনভলভমেন্ট ছিল।’
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ‘২১ আগস্টের হামলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রর সন্ত্রাস। সে সময় ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। এই মামলার রায় রাজনৈতিক জবাবদিহিতার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিএনপিকেও তাই জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। কেননা যারা এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকে তাদের রাজনৈতিক লেজিটেমেসি থাকতে পারে না।’
ড. আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে বৈঠকে আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, মঞ্জুরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তৌকির আহমেদ, অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আলী শিকদার, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এমও