খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল সংক্রান্ত আদেশ ১৬ অক্টোবর
১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৪০
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল সংক্রান্ত আদেশ পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।
রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে শুনানি শেষে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ আদেশ দেন।
এ ছাড়াও মামলাটির রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ যে আবেদন করেছে সে বিষয়েও আদেশ পিছিয়ে ওই দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এ দিন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলার আদেশের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ১৬ অক্টোবর আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও জামিন বাতিল, রায়ের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে আদেশের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতের কার্যক্রম শুরুতে দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আজ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল ও রায়ের তারিখ ধার্যের বিষয়ে আদেশের দিন নির্ধারিত আছে। আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীর সার্টিফিকেটের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আসামি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারের আদেশের বিরুদ্ধে একটি রিভিশন মামলা আজ হাইকোর্টে আদেশের জন্য আছে। এ অবস্থায় হাইকোর্টের আদেশে দেখার জন্য আদালত সোমবার দিন নির্ধারণ করতে পারেন।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেছি। তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে রিভিশন মামলা করেছি আজ (রোববার) সেটার আদেশের জন্য দিন নির্ধারিত আছে। তাই আমরা যুক্তিসংগত একটি সময় চাচ্ছি।
অপর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মাননীয় আদালত, পিপি সাহেবের (মোশারফ হোসেন কাজল) আনেক তাড়াহুড়া। তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। আজ আদেশের জন্য আছে বলে, আজই আদেশ হয়ে যাবে তা বলা যায় না। আদেশ আজ নাও হতে পারে। তাই যুক্তিসংগত সময় দিন।
শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ অক্টোবর আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও জামিন বাতিল এবং রায়ের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে আদেশের পরবর্তী দিন নির্ধারিত হবে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন কেনো বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত। গত ৭ অক্টোবর এ বিষয়ে জবাব দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জবাব দাখিল করেন। তবে আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার পক্ষে ডিফেন্ড করছেন কিন্তু রিপ্রেজেন্ট করছেন না এ বিষয়ে আইনগত কোন শুনানি হয়নি।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমআই