ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রশ্নে আপস করা হবে না: ঢাবি উপাচার্য
১৫ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:১৫ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:১৮
।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রশ্নে কখনো আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। সোমবার ( ১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের এই দিন রাতে জগন্নাথ হলের ছাদ ধসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়। দুর্ঘটনায় ২৬ জন ছাত্র, ১৪ জন অতিথি ও কর্মচারীসহ মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়।
উপাচার্য বলেন, সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। সম্ভাব্যতা যাচাই ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ দ্রুত খালি করার ব্যাপারে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকল হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র্যালি নিয়ে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন।
পরে অক্টোবর স্মৃতি ভবনস্থ টিভি কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ড. তাপস দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সেদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ সেদিন হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের চেতনা ছিল এক ও অভিন্ন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সকল হল মসজিদে মোনাজাত করা হয়। সকালে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে নিহতদের তৈলচিত্র ও স্মৃতি সামগ্রী প্রদর্শন এবং রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। সন্ধ্যায় জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে কবিতা আবৃত্তি, ভক্তিমূলক গান ও শোক সঙ্গীতের আয়োজন করা হবে। এছাড়া অক্টোবর মাসজুড়ে ‘অক্টোবর স্মৃতি রচনা প্রতিযোগিতা’ ও ‘অক্টোবর স্মৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/কেকে/এনএইচ