৮ হাজার রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করে পাঠিয়েছে মিয়ানমার
১৫ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৫৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো তালিকার মধ্যে আট হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তথ্য যাচাই-বাছাই করে পাঠিয়েছে মিয়ানমার। এই আট হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর মধ্য দিয়ে সামনের দিনে চালু হতে পারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সোমবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন- চুক্তির ৬ মাস পরও চূড়ান্ত হয়নি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ চলমান রয়েছে। এই মাসের শেষের দিকে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকায় বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা শিবির সফরও করবে। আর মিয়ানমার এরই মধ্যে আট হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা যাচাই-বাছাই করে পাঠিয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও বলেন, এই আট হাজার রোহিঙ্গার গ্রামভিত্তিক ম্যাচিং শেষ করেছে মিয়ানমার। তবে রোহিঙ্গারা যে যাবে, তারা গিয়ে কোথায় থাকবে? রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য এখনও পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা প্রস্তুত করতে পারেনি মিয়ানমার। দেশটির মংডুতে আরও বাড়ি নির্মাণ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে হটলাইন চালু করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় মগদের অবর্ণনীয় নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে দলে দলে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকে জাতিগত নিধনের প্রামাণ্য উদাহরণ বলেও আখ্যা দিয়েছে। এই নিপীড়নের ফলে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেন কক্সবাজার ও বান্দরবানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়ায় দেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ লাখ।
এসব রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে। চাপের মুখে মিয়ানমার যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়। ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়েছে এ বিষয়ে। তবে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কার্যকর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর