জালিয়াতি চিহ্নিত হলেই ভর্তি বাতিল: ঢাবি উপাচার্য
১৬ অক্টোবর ২০১৮ ২২:০২
।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন জালিয়াতি যখন যে অবস্থায় চিহ্নিত হবে, তখনই তার ভর্তি বাতিলসহ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশের সময় প্রশ্নফাঁস নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, এখন বলা হচ্ছে ৯টা ১৭, ৯টা ১৮ তে প্রশ্ন ফাঁস হয়। আগে কখনও কখনও শুনতাম দুই দিন এক দিন আগে। এখন অনেক কাছে নিয়ে আসছি মন্তব্য করে উপাচার্য বলেন, ক্রমান্বয়ে ক্লোজ ফ্রেমে চলে আসছি। আমরা এমন এক জায়গায় আসছি যে জালিয়াতি করে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, এত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার আমাদের নেই। কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নিতে পারবো না।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের মাঝে ফল প্রকাশ করা পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আখতারুজ্জামান বলেন, কোনো ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় না, বরং এটি আরও বিশ্বস্ত হবে। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে বহিষ্কার করতে পারি না। প্রমাণের ভিত্তিতে সেটা করতে হবে। অচিরেই তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল বাতিল করা হয়নি। যেভাবে ফল এসেছে সেভাবেই প্রকাশিত হয়েছে। এরপরে যখনই যে স্তরেই চিহ্নিত হোক না কেন তাদের ভর্তি বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বছরেও আমরা জালিয়াতির অভিযোগে ভর্তি বাতিল করেছি। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জিরো টলারেন্স। আমরা অনেক এগিয়েছি।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার রাতে হাতে পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটা এক ধরণের ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছে। ডিজিটাল জালিয়াতিগুলো চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে তদন্ত কমিটি। এই পর্যন্ত আমরা যে কয়জনের বিষয়ে জানতে পেরেছি সেগুলো তাৎক্ষণিক বাতিল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে তথ্য প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাবাংলা/কেকে/এমআই