বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থী বাড়লেও বিক্রি জমেনি
৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:৫৬
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : এখনো জমে উঠেনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। বৃহস্পতিবার ছিল ২৩ তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ৪র্থ দিন। আগের দুদিনের চেয়ে আজ দর্শনার্থী বাড়লেও বিক্রি খুব একটা বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেচাকেনা কম হচ্ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে মেলার আসল চিত্র ফুটে উঠবে। এদিন বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে মাসব্যাপী এ মেলা আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। গত ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি স্টল-প্যাভিলিয়নে রয়েছে নানা আয়োজন ও আকর্ষণীয় সব অফার। মেলার মূল ফটকদিয়ে প্রবেশ করেই হাতের বাম দিকে ফ্রুটিকার প্যাভেলিয়ন। দর্শনার্থী ও ক্রেতা আকর্ষণে সুদৃশ্য প্যাভেলিয়ন তৈরি করেছে তারা।
ফ্রুটিকার সেলস ইনচার্জ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মেলায় বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি। আশা করি শুক্রবার থেকে মেলা জমে উঠবে, বিক্রিও বাড়বে।
তিনি বলেন, প্যাভেলিয়নটিতে ৯০ টি পণ্য আনা হয়েছে। প্রতিটি পণ্যে ছাড় রয়েছে। এছাড়া শিশুদের জন্য রয়েছে গেম জোন। গেম খেলে জিতলে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার।
মেলায় কোকোলা ফুড প্রডাক্টস নিয়ে এসেছে ৮টি আলাদা প্যাকেজ। এ প্যাকেজকে তিনভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। লাল প্যাকেজে ২৩৫ টাকার পণ্য ২০০ টাকায় কেনা যাবে। এভাবে সব পণ্যের প্যাকেজে ১৫ শতাংশ করে ছাড় দিচ্ছে তারা।
এই প্যাভেলিয়নের দায়িত্বরত কোকোলার হ্যাড অব অ্যাকাউন্টস আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মেলা না জমলেও আমরা আশাবাদী। বেচাকেনা কম, তবে আশা করি শুক্র ও শনিবার মেলায় বিক্রি বাড়বে।
ক্রেতা সমাগম নিয়ে মেলায় অংশ নেওয়া তানিন গ্রুপের ডিজিএম (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) এস এ বি বাকিউল হক বলেন, মেলা শুরুর প্রথম দু-তিনদিন ক্রেতা-দর্শনার্থী কম হয়। আশা করছি আগামী শুক্রবার থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়বে। তখন বেচাকেনাও বাড়বে।
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন কথা বলেন আরএফএল’র প্রিমিয়ার স্টল ৪৬-এর ইনচার্জ সিরাজুল গনি মঞ্জু। তিনি জানান, গত তিন চার দিনে তারা অনেক ক্রেতা পেয়েছেন। বিক্রিও ভালো হয়েছে। আগামীতে বিক্রি আরো বাড়বে বলেও আশা করেন তিনি।
মেলায় ক্রেতা আকর্ষণে পণ্যে নানা ছাড় ও অফার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়নে নতুন পণ্য প্রদর্শন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান রপ্তানিযোগ্য পণ্য প্রদর্শন করায় ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। আবার বিদেশি স্টলগুলোর পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ লক্ষ্য করা গেছে।
মেলায় যেসব স্টল ও প্যাভিলিয়নে পণ্য সাজানো হয়েছে সেগুলোতে বিক্রিতে ভালো সাড়া মিলছে। প্রাণ প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী সাইফুল ইসলাম জানান, শুরুর দিন থেকেই তাদের স্টলে ক্রেতাদের ভিড় লেগে আছে। স্মার্টটেক্সের বিক্রয়কর্মী আশ্রাব আলী বলেন, মেলা উপলক্ষে এবার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন তারা।
এবার মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন ছাড়াও ৬৫টি প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন, ১৬টি সাধারণ প্যাভিলিয়ন, ২৩টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ছয়টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, সাতটি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ৭২টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৩টি বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল, ২৫৩টি সাধারণ স্টল, ৩১টি খাবারের স্টল, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০টি স্টল, একটি বাণিজ্য তথ্য কেন্দ্র, তিনটি রেস্টুরেন্ট এবং মা ও শিশুদের জন্য তিনটি স্টল রয়েছে।
সারাবাংলা/জেজে/টিএম