Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমপিপুত্র রনির জোড়া খুনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা


১৭ অক্টোবর ২০১৮ ২২:০০

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির জোড়া খুনের মামলায় তদন্ত কমকর্তাকে জেরা করেছেন তার আইনজীবী।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমামের আদালতে এ জেরা অনুষ্ঠিত হয়। জেরা শেষে বিচারক আগামী ৫ নভেম্বর আত্মপক্ষ শুনানি ও অধিকতর যুক্তিতর্কের জন্য দিন ঠিক করেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (বর্তমানে পরিদর্শক) দীপক কুমার দাসকে রনির মোবাইল কল লিস্ট, মামলার সিডি ও গাড়ির লাইসেন্স সম্পর্কে জেরা করেন তার আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম জাহিদ হোসেন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাকসুদ সাংবাদিকদের বলেন, গত ৪ অক্টোবর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু মামলাটিতে আসামি রনির মোবাইল কল লিস্ট জব্দ করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্যও দিয়েছেন। তবে কললিস্টের ডক্যুমেন্টটি ভুলবশত আদালতে প্রদর্শন করা হয়নি। তাই আমরা তদন্ত কর্মকর্তাকে রি-কল করে কল লিস্ট এক্সিবিটপূর্বক রায়ের দিন নির্ধারণের আবেদন করি। এদিন আসামিপক্ষ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানি ও অধিকতর যুক্তিতর্কের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমাম মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৮ মে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন। কিন্তু ওইদিন বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে রায় ঘোষণার তারিখ বাতিল করে ফের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ঠিক করেন। পরে ওই আদালতের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের বদলি মিস মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলাটির ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত বছর ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এরপর ওই বছর ২৯ অক্টোবর আসামি রনি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

২০১৬ সালের ৬ মার্চ মামলাটিতে এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আদালত চার্জগঠন করেন। এর আগে, ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ডিবি পুলিশ রনির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটিতে তিন দফা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালতে তাকে কারাগারে পাঠান। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে তাতে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

ওই ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে রমনা থানায় ওই বছর ১৫ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর