Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ থামাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী


১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০০:১৬

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং এই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবেনা বলে আশাবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘দেশকে উন্নয়নের যে কাজটা করার দরকার ছিল, আমরা তা করেছি এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি এবং এই দায়িত্বটা আপনাদের সবারও থাকলো।’

বুধবার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব জায়গা ও অর্থায়নে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে তিনি এ এসব কথা বলেন।

এসময় আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট দিলে তিনি আবার সরকারে আসবেন, নইলে নয়। সাধ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পেরেছেন বলে আবার ক্ষমতায় না এলে আফসোস থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ এই দেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কিভাবে চলবে, সেই পরিকল্পনাটাও ডেল্টা পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা করে দিয়ে গেলাম, যেন বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে চলতে পারে।

এসময় দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দেশের বিমানবহরে আধুনিক নতুন বিমান সংযুক্ত করার কথাও বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার শুরুতেই জাতির জনকের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি যে আমাদের স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন তাই নয়, বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন দেশে আমাদের নিজেদের জায়গায় নিজস্ব দূতাবাস হবে, সে প্রক্রিয়াটিও শুরু করে যান।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী এসময় বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, আমাদের নিজস্ব দূতাবাস ভবনটি আজকে উদ্বোধনের সময় আমার বারবারই মনে পড়ছিল, আজ যদি জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন, তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতো। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাস স্থাপনে সরকার কাজ শুরু করে এবং ওয়াশিংটন ও দিল্লিতে ভবন স্থাপন করলেও অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে এই কাজ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার বন্ধ করে দেয়।

হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে  হজযাত্রীদের সুবিধার্থে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার মক্কাতে হজ অফিস নিয়ে গেছে এবং হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সুবিধার্থে মক্কা ও মদিনাতেও নিজস্ব জায়গায় অফিস তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার। এ বিষয়ে জমি অথবা অফিসের জন্য ফ্লোর কেনার জন্যও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি হজ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহ ও তার সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধানে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চ্যান্সেরি ভবনটা যখন তৈরি করা হয়, তখনই আমার নির্দেশনা ছিল— এখানে যারা সেবা নিতে আসবেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে যেন বন্দোবস্ত রাখা হয়।’

দেশের ডিজিটালাইজেশনের সুফল এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের মত প্রবাসীরাও পাচ্ছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজ সৌদি বাদশাহের সঙ্গে আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বাদশাহকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি, বাদশাহ তাতে সানন্দে সম্মতি দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কে এস এ গোলাম মসীহ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই চ্যান্সেরি ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ সেবা প্রত্যাশীদের জন্য ৫১০ বর্গমিটারের একটি শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। বাসস।

আরও পড়ুন-

সৌদি বাদশাহ’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সারাবাংলা/টিআর

প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিয়াদে চ্যান্সেরি ভবন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর