Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৭ জানুয়ারি দুই দিনের সফরে আসছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি


৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:৪২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দুই দিনের ঢাকা সফরে আসছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো।

ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস গত ৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান হয়, দেশটির রাষ্ট্রপতি ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি ঢাকা সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

পরবর্তী সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির সফরের দিন-ক্ষণ চূড়ান্ত করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাকার্তা সফর করেন। ওই সফরে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় ফিরতি সফরে ঢাকা আসছেন রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো।

ঢাকা সফরে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ঢাকা সফরে তিনি দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। সব ঠিক থাকলে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলবেন জোকো উইডোডো।

এ ছাড়া তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির সরেজমিন দেখতে যেতে পারেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থনের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে জাকার্তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে ঢাকা। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের থার্ড কমিটি এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে ঢাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতার্কা। সামনের দিনগুলোকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির আরো সমর্থন পেতে চায় ঢাকা।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন, সন্ত্রাস নির্মূল, গবেষণা, প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ইনকা পিটি ইন্ডাস্ট্রি কারেটা এপিআইয়ের সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৭৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭০ টাকার একটি চুক্তি করে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়। চুক্তি অনুযায়ী, ৩ বছরের মধ্যে ইস্পাতের তৈরি ২ শ রেল কোচ বাংলাদেশ রেলওয়েকে সরবরাহ করবে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।

এ ছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাকার্তায় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতের একটি সমাঝোতা স্মারক সই করা হয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ঢাকাতে তরল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করবে জাকার্তা।

ঢাকার ইন্দোনেশিয় দূতাবাস থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি এবং ক্ষদ্র ঋণ কর্মসূচির প্রতি দেশটির আগ্রহ রয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের জ্ঞান কাজে লাগাতে চায় দেশটি।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর