Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হলি আর্টিজান মামলা: পলাতক ২ আসামি ধরতে বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ


১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:২১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর দায়ের হওয়া মামলার পলাতক দুই আসামিকে ধরতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহামন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। পলাতক দুই আসামিরা হলেন, মো. মামুনুর রশিদ ও মো. শরিফুল ইসলাম।

এর আগে সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান জানান, গত ২৯ আগস্ট মামুনুর রশিদ ও মো. শরিফুল ইসলামের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে আদালত।

বাকি আসামিরা হলেন, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, নব্য জেএমবি‘র অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ।

চলতি বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির এই মামলায় সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর গত মাসের ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।

এতে ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত অন্য ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আট আসামির বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিট গত ৮ আগস্ট গ্রহণ করে আদালত। জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে জঙ্গিরা হামলা চালায়। হামলায় ৯ জন ইতালিয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ২ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হন। রাতভর হলি আর্টিজান ঘিরে রাখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরদিন সকালে সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানে পাঁচ জঙ্গির এবং আর্টিজানের চিফ শেফ সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আর সাইফুলের সহকারী জাকির হোসেন শাওন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

জঙ্গি হামলায় আর্টিজানের বাইরে নিহত হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান।

দীর্ঘদিন পাঁচ জঙ্গি এবং সাইফুল ইসলাম ও শাওনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখার পর বেওয়ারিশ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম জুরাইন কবরস্থানে মরদেহ দাফন করে।

সারাবাংলা/এআই/এটি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:২৬

সম্পর্কিত খবর