‘বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
১৮ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৩৬
।। সেলিম আহমেদ, সৌদি আরব থেকে ।।
জেদ্দা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বাইরে যাওয়ার আগে সঠিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, যারা চাকরি নিয়ে বিদেশে যেতে চান, তাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগ্রহ কম। অল্প কিছু টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার পর তারা বিপদে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোশি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা চাকরি নিয়ে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক, সরকার তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। এই প্রশিক্ষণ তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় বিদেশে অবস্থানকালে তারা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হন। বিদেশে চাকরি প্রার্থী অনেক লোক দালালের খপ্পরে পড়ে জায়গা-জমি বিক্রি করে বিপদে পড়ে। তাদেরকে ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দিনের পর দিন জেলে কাটাতে হয়।
তিনি বলেন, বৈদেশিক অর্থের বড় অংশই আসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে। আমাদের দূতাবাস ও মিশনগুলো তাদের অর্থেই পরিচালিত হয়। তাই আমি চাই, প্রবাসী কল্যাণ তহবিল তাদের কল্যাণেই ব্যবহৃত হোক। প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠায় এই তহবিল ব্যবহৃত হবে এবং স্কুলগুলো সেই তহবিল দিয়েই চলবে। মদিনায় বাংলাদেশি স্কুলও বন্ধ হবে না। এটি চালু থাকবে। এজন্য যত টাকা দরকার আমি দেবো।
এসময় প্রবাসীদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের সরকার প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা বিদেশ যেতে চায় তারা এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে।
দেশের উন্নয়নে সরকার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি ১০ বছর মেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। আমরা আগামী শতাব্দীতে দেশের অবস্থা এবং আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কী হবে তা মনে রেখে ডেল্টা প্লান ২১০০ প্রণয়ন করেছি। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমরা চাই দেশে একটা লোকও গৃহহীন ও ক্ষুধার্ত থাকবে না, বলেন শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/এটি