শুরু হলো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ
১৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:০০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দেশে টানা চতুর্থ বারের মতো শুরু হলো ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
দেশের ১ লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বেসিসের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। বেসিসের পক্ষে বাংলাদেশের ৯ টি শহরে এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা পড়ে। শীর্ষ ৪০ টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন।
প্রতিযোগতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু।
প্রতিযোগিতার লক্ষ্য সম্পর্কে বেসিস সভাপতি বলেন, ‘টেকনোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, এডুকেটর, উদ্যোক্তাসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই এ প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য।’
বাংলাদেশে প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশকে মোট ৮টি জোনে বিভক্ত করে ৪৫৩ টি আবেদন গ্রহণ করা হয়, যার মধ্য থেকে ১৩১ টি প্রকল্প বাছাইয়ের জন্য মনোনীত করা হয়। প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশ থেকে ৫০ টি দলের হ্যাকাথনের মধ্য দিয়ে সর্বমোট ১১টি সেরা প্রজেক্টকে নাসা’র নিয়মানুযায়ী মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ২টি প্রকল্প ‘ গ্লোবাল পিপল’স চয়েজ ফাইনালিস্ট’ হিসেবে সম্মান অর্জন করে। এবার ৯টি শহর থেকে ১৮টি দলকে নাসার জন্যে মনোনীত করা হবে। গত বছরের চেয়ে আমরা এবার আরও ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত।’
টানা ৩৬ ঘন্টা হ্যাকাথন আয়োজনের পর আগামী ২০ অক্টোবর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে