Sunday 11 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাহমুদ হাসানকে হেনস্তার অভিযোগ


৪ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৪৭

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

‘তাদের ভিন্ন যুক্তি থাকতেই পারে, সেগুলো সঠিক-ও হতে পারে। কিন্তু আমাকে তারা আটকে রেখেছে, জোর করে কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে-এটা তো ফৌজদারী অপরাধ। তারা আমার সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধ করেছ ’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান।

এ ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানায় জিডিও করেছেন তিনি। চিঠি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ওই দিন সকালে কলেজের দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির মিটিং এ গেলে তাকে আটকে রাখা হয়।

ধানমন্ডির নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের একদল চিকিৎসক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও কয়েকজন শিক্ষক আমাকে আলোচনার নামে লেকচার গ্যালারিতে নিয়ে আটকে রাখে। তারা আমাকে ভয়-ভীতি দেখায় এবং জোর করে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।’

জানা গেছে, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে দুজন অধ্যক্ষ রয়েছে এবং তারা উভয়েই ভারপ্রাপ্ত। এ দুই জনের একজনের পক্ষে রয়েছেন মাহমুদ হাসান এবং আরেকজনের পক্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান। অধ্যক্ষ নিয়োগের সূত্র ধরেই আজকের এ হেনস্তা হতে পারে বলে মনে করছেন  মাহমুদ হাসান।

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কলেজটির একটি পরিচালনা পরিষদ রয়েছে এবং অধ্যাপক মাহমুদ হাসান সেই পরিচালনা পরিষদের সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

মাহমুদ হাসান বলেন, ‘পরিচালনা পরিষদ ও ট্রাস্টি বোর্ডের মতবিরোধ অনেক দিনের। তবে গত ১৮ ডিসেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ তাইমুর নেওয়াজ পদত্যাগ করার পর বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করে। তিনি বলেন, তাইমুর নেওয়াজ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করার পর পরিচালনা পরিষদ সে সময়ের উপাধ্যক্ষ এ এইচ এম শামসুল আলমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়। আইন অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা কেবল পরিচালনা পরিষদেরই রয়েছে। কিন্তু ট্রাস্টি বোর্ড ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক পরিতোষ কুমার ঘোষকে।’

গত ৩ ডিসেম্বর নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শামসুল আলম দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া  পরিতোষ কুমার ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানের পরিপন্থী বলে চিঠি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা/জেএ/টিএম/এমআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর