সন্ধ্যা নদীর ভাঙন ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
২০ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:১৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সোনাকুড় গ্রাম প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। গ্রামটির তিনভাগের প্রায় দুইভাগ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ নদী ভাঙন ঠেকাতে এক মানববন্ধন থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়। কাউখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সন্ধ্যা নদীর তীরে রয়েছে মানসোনাকুর গ্রাম। যে গ্রামে রয়েছে ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। এই গ্রামে মাটির কাজ করা কুমার ও পাল বংশের লোকজন ভিটেমাটি হাড়িয়ে আজ নিঃস্ব। গত ১৫ দিনে সোনাকুর গ্রামের প্রায় ২০ একর জমি, ৫০টির অধিকের বাড়ি ও ২০টি দোকান এবং একটি কাঠের ব্রিজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে ১নং সয়ন-রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোগলা, বেতকা, রঘুনাথপুর, সয়না, রোঙ্গাকাঠি, শীর্ষা ও মেঘপাল গ্রামে।’
এছাড়া আমড়াজুরি ইউনিয়নের সরকারি খাদ্য গুদাম, আশোয়া, গন্ধব্য, কুমিয়ান, ফেরিঘাট এলাকায়া ধীরে ধীরে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। একই সাথে কাউখালী নদীবন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যা এখন থেকে প্রতিরোধ না করলে মানচিত্র থেকে এই উপজেলা বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা।
নদীগর্ভে ভিটে মাটি চলে যাওয়ায় কয়েকশ পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ‘নদী ভাঙন এলাকার মানুষ অনাহারে থাকলেও সরকারের কোনো মহল থেকে এখন পর্যন্ত সহযোগিতা মেলেনি।’ এদের সাহায্যে সরকারের দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তারা।
কাউখালী যুব কল্যাণ সমিতি, ঢাকাস্থ কাউখালী শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ, দ্বীপ কল্যাণ সমিতির সদস্যরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমও