ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
২১ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:২১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্যের অভিযোগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
রোববার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মাসুদা ভাট্টি মামলাটি দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে মাসুদা ভাট্টির মামলা
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে মামলাটি আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানায় জারি করেন। একই সঙ্গে এই মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ২২ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মাসুদা ভাট্টি জবানবন্দী গ্রহণের সময় আদালতকে বলেন, গত ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল-৭১-এ প্রচারিত মিথিলা ফারজানা সঞ্চালিত ‘৭১ জার্নাল’ টকশো চলাকালে মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন, আপনি বলেছেন একজন নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলেন, আপনি জামাতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন তাই কি না? উত্তরে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, শোনেন দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’ এরপর আমি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বে অন্য প্রশ্ন করি।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে ফেসবুক মেসেজে, টেলিফোনে মঈনুল হোসেনের পক্ষ হয়ে নোংরা ভাষায় কথা বলা হচ্ছে। পরে তাকে ক্ষমা চাইতে বললে তিনি চাইলেন না। উল্টো ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারের তার পক্ষ হয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বাদী মনে করেন মঈনুল হোসেনের এইরূপ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য তার জন্য মানহানিকর ও কুৎসা রটনাকারী হিসেবে গণ্য এবং সকল নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।
মাসুদা ভাট্টির আইনজীবী কাজী নজিরুল্লাহ হিরু আদালতকে বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন এ ধরনের বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে বাদীর মানহানি, সতীত্ব নষ্ট হয়েছে বলে দুর্নাম, নারীর শালীনতার অমর্যাদার লক্ষ্যে অনধিকার লংঘন করে আসামি অপরাধ করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি বাদীর জন্য অত্যন্ত অসম্মানের এবং তার মত অসংখ্য নারী সাংবাদিকের জন্য চরম অবমাননাকর।
তিনি আরও বলেন, মায়ের জাতি, পেশাজীবীকে অপমান করা হয়েছে। বিষয়টি অতীব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার প্রার্থনা জানিয়েছে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইনজীবী। দণ্ডবিধি ৫০০, ৫০৬, ও ৫০৯ ধারায় মামলাটির অভিযোগ আনা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমআই