Sunday 08 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাবালে নূরের মালিক-চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র শুনানির দিন ধার্য


২২ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৫৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা : জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের মালিক ও চালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র শুনানির জন্য আগামি ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাস চাপায় মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এই শুনানি হবে।

সোমবার (২২ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের এর বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস বিচারের জন্য অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ শুনানির এই নতুন দিন ঠিক করেন।

এসময় জাবালে নূরের বাসদুটির মালিকসহ কারাগারে থাকা চার আসামির জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

কারাগারে থাকা চার আসামি হলেন, দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া জাবালে নূর পরিবহনের বাসটির চালক মাসুম বিল্লাহ, তার সহকারী এনায়েত হোসেন এবং বাসটির মালিক শাহাদাত হোসেন। এছাড়া ওই বাসটি যে বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছিল ওই বাসের চালক জোবায়ের সুমন। তবে এই বাসটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের সহকারি কাজী আসাদ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শরিফুল ইসলাম।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন যে, আসামি জোবায়ের সুমন ও মাছুম বিল্লাহ হালকা যান কার, জীপ ও মাইক্রোবাস চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক থাকলেও ৪১ সিটের বাস চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া জব্দকৃত তিনটি বাসের কোনটিতেই কোনো ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। বাসের ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগের এখতিয়ার বাস মালিকের। এই মামলার আসামি ড্রাইভার ও হেলপারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বুদ্ধিমত্তা যাচাই ছাড়াই মালিক শাহদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম তাদের নিয়োগ দেন।

আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামি সোহাগ আলী ও রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ আগস্ট এই চার আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত শিক্ষার্থী মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/এআই/এসএমএন

জাবালে নূর জাবালে নূর পরিবহন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর