বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতুর উদ্বোধন
২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:০৭
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
প্রায় নয় বছরের নির্মাণযজ্ঞ শেষে চীনে চালু হতে যাচ্ছে সমুদ্রের ওপর নির্মিত বিশ্বের সবচাইতে বড় ‘হংকং-ম্যাকাও-ঝুহাই’ সেতু। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সেতুটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রায় ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি চীনের মূল ভূখণ্ড গুয়াংডং এর সাথে হংকং ও ম্যাকাওকে সংযুক্ত করবে। দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি শহরকে পরস্পরের সাথে যোগ করতে চীনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ এই মেগা-প্রজেক্ট ।
সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টে শি জিনপিং বলেন, ‘আমি হংকং-ম্যাকাও-ঝুহাই সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’ অনুষ্ঠানে ম্যাকাও, হংকং ও গুয়াংডং এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার (২৪ অক্টোবর) থেকে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সেতু ব্যবহার করে চীনের মূল ভখণ্ড থেকে হংকং যেতে এখন লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। আগে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগতো।
দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে। ২০১৬ সালে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
সেতুটির প্রায় ৩০ কিলোমিটার পার্ল নদীর ওপর এবং ৬.৭ কিলোমিটার রাখা হয়েছে সাগরের নিচে টানেলে। যাতে নদীতে জাহাজ চলাচলে কোনো অসুবিধা না হয়। ভূমিকম্প এবং টাইফুনে প্রতিরোধে সক্ষম সেতুটির নির্মাণে প্রায় ৪ লাখ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব। প্রকাণ্ড এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবার পর থেকে দুর্ঘটনায় দশ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ও আহত হয়েছেন শতাধিক।
কর্তৃপক্ষ আশা করছেন হংকং-ম্যাকাও-ঝুহাই সেতু পুরোদমে চালু হলে দৈনিক ত্রিশ হাজার গাড়ি চলাচল করবে। এই সেতু চীনের অর্থনীতিতে যোগ করবে ১ দশমিক ৪৪ ট্রিলিয়ন ডলার। যদিও বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলছেন এই প্রকল্পটি, গরিবের হাতি পোষার মতো। কারণ সেতুর টোল থেকে বছরে আসবে মাত্র ৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তবে সেতুটির কারণে হংকংয়ে চীনা পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিবছর ৫ কোটির বেশি চীনা পর্যটক হংকং ভ্রমণ করে থাকেন।
সারাবাংলা/এনএইচ