বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় খালাস পাওয়া তোরাব আলীর মৃত্যু
৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৫২
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় খালাস পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী (৭০) মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৩ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।
কারারক্ষী আবু হানিফ জানান, তোরাব আলী অসুস্থ হওয়ার পর তাকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, ময়না তদন্তের জন্য তোরাবের লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের বাসিন্দা তোরাব পরিবার নিয়ে হাজারীবাগ বিডিআর ৫ নম্বর গেটে থাকতেন তিনি। তার ভাতিজা শহিদুল আকন জানান, পিলখানার সোবেদার অ্যাটজুটেন হিসেবে কর্মরত ছিলেন তোরাব। ’৯০ সালে তিনি অবসরে যান। প্রথমে তাকে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় যাবজ্জীবন কারাভোগের সাজা দেয়া হয়। এরপর হাইকোর্টে তাকে খালাস দেন। তিনি হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। ওই হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে তোরাব আলীকে ৩০২ ধারায় সাজা দিয়েছিলেন জজ আদালতের বিচারক।
তোরাব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানতে পারেন। কিন্তু তিনি তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি।
সারাবাংলা/ ইউজে/এসএস/টিএম