‘বৌদ্ধ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক’
২৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৫৭
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ‘কঠিন চীবর দান’ উদযাপনের মাধ্যমে বৌদ্ধ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। বুধবার (২৪ অক্টোবর) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাণীতে তিনি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহামতি গৌতম বুদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় বিশ্ব গঠনে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, মানবতা ও শান্তির অমিয় বাণী প্রচার করে গেছেন। তার আদর্শ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ। বুদ্ধের অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমভাবে সমাদৃত। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব সকলের মধ্যে গড়ে তোলে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি। ত্যাগ, সংযম, নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর ধ্যান সাধনার মাধ্যমে উদযাপিত ‘কঠিন চীবর দান’ ভক্তদের বুদ্ধের প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য। পাহাড়পুর, ময়নামতিসহ এ দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রাচীন বৌদ্ধবিহার এর উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে বয়ে চলা এ সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। সম্প্রীতির এই ধারা অব্যাহত রেখে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে আমি সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
আমি কামনা করি, ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব সবার জন্য বয়ে আনুক সুখ,শান্তি আর অনাবিল আনন্দ, বলেন রাষ্ট্রপতি।
সারাবাংলা/এটি