Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রিভিশন খারিজ, সমরের বিরুদ্ধে দুই মামলা তদন্ত করবে পিবিআই


২৫ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৫২

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: শিক্ষানবীশ আইনজীবী সমর কৃঞ্চ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলা দুটিতে তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠার পর সেগুলোর তদন্তভার থানার পরিবর্তে পিবিআইকে দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তদন্তভার নিজেদের কাছে রাখার জন্য আবেদন করেছিল চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

তবে বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো.ইসমাইল হোসেন বোয়ালখালী থানার করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। নিম্ন আদালত পিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার যে আদেশ দিয়েছিলেন সেটি বহাল রেখেছেন জেলা ও দায়রা জজ।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার কাজল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, নিম্ন আদালতের আদেশ জেলা ও দায়রা জজ স্যার বহাল রেখেছেন। এই আদেশের ফলে পিবিআই মামলা দুটি তদন্ত করবে।

সমর চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্তভার গত ৩০ মে পিবিআইকে দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হেলাল উদ্দিন। এই আদেশ নিয়ে আপত্তি তুলে গত ২৮ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন বোয়ালখালী থানার তৎকালীন এস আই মো. আতিক উল্লাহ।

৩০ জুলাই পুলিশের রিভিশন মামলাটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ। এরপর গত ২২ অক্টোবর শুনানি হয়।

গত ২৭ মে বোয়ালখালী থানা পুলিশ সমরকে নগরীর লালদিঘীর পাড় এলাকা থেকে আটক করে। এরপর তাকে গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তার গ্রামের বাড়ি থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে দাবি করে পুলিশ বোয়ালখালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারের পর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় ওঠে। সমরের পরিবার দাবি করে আসছিল- তাদের গ্রামের লন্ডণপ্রবাসী যুবক সঞ্জয় দাশের সঙ্গে তার প্রতিবেশি স্বপন দাশের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। স্বপন দাশকে আইনি পরামর্শ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সঞ্জয় দাশ পুলিশকে ব্যবহার করে সমরকে দুটি মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি এস-এম-মনিরুজ্জামানের প্ররোচনায় ওসি হিমাংশু কুমার দাশের ইন্ধনে সমরকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিল সমরের পরিবার।

গত ২ জুলাই সমরের মেয়ে অলকানন্দা চৌধুরী ও তমালিকা চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে তার বাবার মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এরপর ১২ জুলাই সমর জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্ত হয়ে সমর গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে ক্রসফায়ারে দিতে চেয়েছিল।

সমরকে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে বিতর্কে পড়া ডিআইজি মনিরুজ্জামানকে গত জুলাই মাসে বদলি করা হয়।

এছাড়া সমরকে ফাঁসানোর অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে নেমে বোয়ালখালী থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা এতে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় কমিটি। অভিযুক্তরা হলেন- ওসি হিমাংশু দাশ রানা, এসআই আতিকুর রহমান ও এসআই আরিফুল ইসলাম।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১৯ জুলাই আরিফুর এবং ১১ আগস্ট আতিকুরকে প্রত্যাহার এবং ২৫ আগস্ট হিমাংশুকে বোয়ালখালী থানা থেকে বদলি করা হয়।

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর