সংক্রামক রোগীকে অন্তরিন বিধান রেখে বিল পাস
২৬ অক্টোবর ২০১৮ ১০:২১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সংক্রামক রোগের জীবাণুর বিস্তার ঘটানোর অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানাসহ প্রয়োজনে রোগীকে নির্দিষ্ট কোনো হাসপাতাল, স্থাপনা বা ঘরে অন্তরিন রাখার বিধান রেখে সংসদে ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল ২০১৮’ পাস হয়েছে। এতে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, এইচআইভি (এইডস), ইবোলা, জিকা, অ্যানথ্রাক্স, এভিয়ান ফ্লুসহ ২৪টি রোগকে সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে এসব রোগের জীবাণুযুক্ত স্থাপনা জীবাণুমুক্ত করতে ধ্বংস বিধানও রাখা হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে চলতি দশম সংসদের ২৩তম অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো যানবাহন, ব্যবহার্য্য দ্রব্য, বা পশুপাখি সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী এসব জব্দ করতে পারবেন এবং জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করবেন। যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন বা সৎকার করতে হবে। এছাড়া যদি কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তা গোপন করেন বা সংক্রামক রোগের জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা ঘটাতে সহায়তা করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সংক্রামক রোগ বিল পাস হওয়ায় ফলে বিলে দ্য এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্ট ১৮৯৭, দ্য পাবলিক হেলথ (ইমারজেন্সি প্রভিশনস) অর্ডিন্যান্স ১৯৪৪, দ্য মেডিক্যাল ইরেডিকেশন বোর্ড (রিপিল) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ ও দ্য প্রিভেনশন অব ম্যালেরিয়া (স্পেশিয়াল প্রভিশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৮ রদ হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলোর আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল ২০১৮ সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ সংক্রামক রোগ আইন