Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে চীন’


২৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছে চীন। শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝাও কেঝি’র সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এর আগে, সকাল ১০টায় দুই দেশের দুই মন্ত্রীর নেতৃত্বে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত যাবে। এজন্য চীন উদ্যোগ নেবে’। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সই হওয়া চুক্তিগুলো যেন মিয়ানমার যথাযথভাবে পালন করে, সে বিষয়েও কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে বৈঠকে জানিয়েছে চীন।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশ-চীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক চলছে

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে তারা বিশ্বাস করে, রোহিঙ্গারা দ্রুত তাদের ভিটেমাটিতে ফিরে যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত সময়ে দেশে ফিরিয়ে দিতে চীনকে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। তারাও স্বীকার করেছে, মিয়ানমারের ১ মিলিয়ন নাগরিক এখানে থাকায় বাংলাদেশ সমস্যায় পড়েছে।’ তবে স্বল্প সময়ে এতসংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দেওয়ায় তারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

এছাড়া, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা চালু করার কথা জানিয়েছে চীন। ঢাকা সফররত চীনা জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ও পার্টি কমিটির সম্পাদক ঝাও কেঝি এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকরা ভিসা না করলে যেন চীন ভ্রমণ করতে গিয়ে অন অ্যারাইভাল ভিসা পায়, তার প্রস্তাব দিয়েছেন চীনা স্বরাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী। এখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হবে।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তিনটি চুক্তি সই হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। চুক্তিগুলো হলো— আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সহযোগিতা ও পুলিশ বিভাগের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ।

রোহিঙ্গা ও ভিসা ইস্যু ছাড়াও, বৈঠকে জননিরাপত্তা, আঞ্চলিক শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো, সন্ত্রাসবাদ দমনে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান ও প্রশিক্ষণ, সাইবার অপরাধ এবং মানি লন্ডারিং নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব বিষয়ে জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপ গঠনেও রাজি হয় দুই দেশ।

সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রান্সন্যাশনাল টেররিজম, অ্যান্টিটেররিজম, কাউন্টারটেররিজম, মাদক, হিউম্যান ট্রাফিকিং, সাইবার ক্রাইম, গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদান ও প্রশিক্ষণ নিয়েও কথা বলেছি।

এর আগে, শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সচিবালয়ে উপস্থিত হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি দলের সালাম গ্রহণ করেন ঝাও কেঝি।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অধীন সংস্থাগুলোর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। চীনের পক্ষে ঝাও কেঝির নেতৃত্বে দেশটির ২৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী। এর আগে তিনি চলতি মাসেই ভারত ও মিয়ানমার সফর করেছেন।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর