‘সাংবাদিকতা কোনো পেশা নয়, সত্যকে ভালোবাসা’
২৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৪৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, সাংবাদিকতা অন্য যেকোনো সাধারণ পেশার মতো নয়। এটা সত্যকে ভালোবাসা। এই পেশায় সত্যের পথে সব সময় কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
এ জন্য যারা কঠিন জেনেও সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশুনা করছে তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিল আয়োজিত ‘ফাস্ট ন্যাশনাল জার্নালিজম স্টুডেন্টস ফেস্ট-২০১৮’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সারাদেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটিতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল- অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা ডটনেট, দৈনিক ইত্তেফাক, সময় টেলিভিশন ও সিটিএফএম।
ঢাবি সাবেক উপাচার্য বলেন, তোমরা যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছো তোমাদেরকে আমি অভিনন্দন জানায়। কারণ তোমরা এমন একটি বিষয়কে বেছে নিয়েছো এই বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে যখন পেশায় প্রবেশ করবে, সেই পেশাটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা, সবচেয়ে কঠিন পেশা। কারণ তোমাদের কাজ করতে হবে সত্যকে নিয়ে। সত্যকে মিথ্যা থেকে পৃথক করতে হবে এবং সত্যকে খুঁজে বের করে সেটি প্রকাশ করতে হবে। সত্য প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যেতে হবে। তার জন্য তোমাদের দরকার সাহস, উন্নত নৈতিক চরিত্র এবং নির্গম হওয়ার মত গুণাবলী। এগুলো আসলে কঠিন। আর সে কঠিন কাজের স্বপ্ন নিয়ে তোমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী হয়ে নিযুক্ত হয়ছো। এর চেয়ে কঠিন কাজ পৃথিবীতে যেহেতু নেই, তাই এ কঠিন কাজে নিযুক্ত হওয়ার জন্য তোমাদের অভিনন্দন জানায়।
তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যখন এ মুহূর্তে টিএসসির নির্মল পরিবেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বসে আছি, ঠিক সেই মুহূর্তে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও সাংবাদিকরা নির্মমতার শিকার হচ্ছে। তোমরা জানো সম্প্রতি সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে, তবুও সাংবাদিকতা থেমে থাকেনি। তোমরা সত্যকে ভালোবেসে সামনে এগিয়ে যাবে।
এ সময় ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, পৃথিবীতে এ যাবৎকালে যে ধারায় সাংবাদিকতা হয়ে এসেছে, সে ধারায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং করপোরেট মিডিয়ার বিস্তারে। তবে সাংবাদিকতায় কেবল রাজনৈতিক শক্তি নয়, করপোরেট পুঁজির বিনিয়োগের আধিপত্য স্বাধীন সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাই এসব উৎসব আয়োজনের পাশাপাশি বিজেএসসি দ্রুত পরিবর্তনশীল গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করবে, চিন্তা করবে এবং সমাধান খুঁজবে বহু বিতর্কের মধ্য দিয়ে।
বিজেএসসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইমরান আহমেদের সঞ্চলনায় এবং সনজিৎ সরকার উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, স্বাধীনতা সাংবাদিক পরিষদ আহ্বায়ক বরুণ ভৌমিক নয়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকরা।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিজেএসসির বিশেষ স্মরণিকা ‘স্বপ্ন’-এর মোড়ক উন্মেচন করেন অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ অন্যান্য অথিতিরা।
এ সময় অথিতিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিজেএসসিসির নেতৃবৃন্দ।
সারাবাংলা/এসএইচ/এমআই