Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়’


২৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:০৬

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুত হলেও দারিদ্র বৈষম্য থেকেই যাচ্ছে। এ জন্য দরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, তা না হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতি বিভাগের ‘ইকোনোমিকস স্টাডি সেন্টার’-এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ইকোনোমিকস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বারকাত-ই-খুদা বলেন,  ‘আমাদের এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে চারটি কারণে, এগুলো হচ্ছে—রেমিট্যান্স, তৈরি পোশাক খাত, কৃষি পণ্য এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প।’

https://youtu.be/5z7Sx-lxdx0?t=338

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যখন রেমিট্যান্সের টাকা আসা শুরু করে তখন প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ খাওয়া-পরাসহ ধীরে ধীরে জীবন যাপনের মান বাড়াতে টাকা খরচ শুরু করে। এরপর তারা অর্থ বিনিয়োগ শুরু করে জমি কেনায়। অথচ বিনিয়োগ দরকার লেখাপড়া ও স্বাস্থ্যে যা দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজে আসে।’

‘বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীদের উন্নয়নও একটা বড় ভূমিকা পালন করে, স্বাধীনতার পরে নারীদের শিক্ষার অবস্থা খুব খারাপ ছিল, কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নারীদের লেখাপড়া উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অবৈতনিক করে। এসব সুবিধা নারীর অর্থনীতিতে এগিয়ে আসার পথকে আরও সুগম করবে। ফলে, অর্থনীতিতে নারীদের একটি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।’

এ ছাড়াও বারকাত-ই-খুদা বাংলাদেশের জনশক্তিকে কর্মক্ষম জনশক্তিতে রূপান্তরের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা যদি জনশক্তিকে সঠিক শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্র তৈরি করে দিতে না পারি তবে তারা দেশের ক্ষতির কারণ হবে। আমরা এখন অর্থনৈতিক উন্নয়ণের যে অংশে চলে এসেছি আমাদের এই বিষয়গুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

দেশে অর্থনীতি বিষয়ক স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাত দিনব্যাপী শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইকোনোমিকস সামিট।

এ সামিটের উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ইকোনোমিকস স্টাডি সেন্টারের মডারেটর অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই সামিটে তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবে। এ আয়োজনে আরও আছে রচনা প্রতিযোগিতা, গণবক্তৃতা, পলিসি ডিবেট ও প্যানেল ডিসকাশন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের কাজকে আরও ভালোভাবে শেখার সুযোগ পাবে।

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত ইকোনোমিকস স্টাডি সেন্টার অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক চিন্তা প্রসারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে আসছে।

এ বছর সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যের গতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যেখানে আগামীর অর্থনীতিবিদরা সুযোগ পাবেন দেশের বরেণ্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার এবং অর্থনীতিকে আরও গভীরভাবে বোঝার।

সারাবাংলা/এমএ/জেএএম

উন্নয়ন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর