১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ
৫ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৪০
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
দেশে কাঁকড়ার সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার সুন্দরবনের নদ-নদী ও জলাভূমি থেকে সব ধরনের কাঁকড়া আহরণ আগামী দুই মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহামুদুল হাসান জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুমাস সুন্দরবন অঞ্চলে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এ দুই মাস সুন্দরবন অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা কাঁকড়ার ডিম ফুঁটে প্রচুর পরিমাণ কাঁকড়া জন্ম নেয় বলে সব ধরনের কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মংলাসহ সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকা থেকে প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়া রপ্তানি করা হয়। বিদেশে রপ্তানি করা কাঁকড়ার ৯৯ শতাংশ সুন্দরবন থেকে ধরা হয়।
২০০৩-০৪ অর্থ বছরে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয় ১৪৬ মিলিয়ন ডলারে। পর্যায়ক্রমে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এ আয় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাইকগাছার লোনাপানি কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লতিফুল ইসলাম জানান, কাঁকড়া নদী বা খালে বেড়ে উঠলেও এর প্রজনন হয় সাগরের মুখে বা গভীর সাগরে। তাই এ সময় কাকড়া গভীর সাগরের চলে যায়। কাঁকড়া সাগরে ছুটে যাওয়ার মুহূর্তে যাতে তাদের ধরা না হয় সে জন্য কাঁকড়ার অভয়ারণ্য সুন্দরবনে মা কাঁকড়া রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এই দুমাস শুধু সুন্দরবন এলাকায়কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ। তাই সুন্দরবন বিভাগ এটা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
সারাবাংলা/টিএম/এমআই