আপিল শুনানির ওপর নির্ভর করবে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রায়
২৮ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৫৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে। কিন্তু আজ (রোববার) খালেদার জিয়ার অনুপস্থিত বিচারকার্য চলবে কিনা সেই বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল বিভাগে শুনানি দিন ধার্য রয়েছে। এ শুনানি ওপর নির্ভর করছে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়।
গত ১৮ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল মামলার বিচার কাজ চলবে- হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়েছে। চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
এরআগে গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে মামলার শুনানি শেষে ঢাকার ৫ নাম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করার জন্য দিন ঠিক করেছিলেন।
রায় ঘোষণার দিন ঠিক কারার আগে বিচারক বলেছিলেন, ‘গত আড়াই বছর ধরে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বারবার সময় দেওয়ার পরও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুনানিতে অংশ নেননি। উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে বিচারকার্য চলার জন্য আদেশ দিয়েছেন। এরপরেই যুক্তিতর্ক পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেছেন। আসমিদের পক্ষের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে রায় জন্য এ দিন ঠিক করেন।
বিচারক আরও বলেন, জামিনে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ মামলার রায় ঘোষণার দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া জামিন বহাল থাকবে।
ওইদিন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩২জন সাক্ষী হয়েছে। আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। সর্বশেষ এ মামলায় গত আড়াই বছর কোন যুক্তিতর্ক প্রদর্শন করেন না। আদালত বারবার তাদের যুক্তিতর্ক উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা একগুয়েমি দেখিয়ে আদালতের কথা অমান্য করে বারবার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য সময় চেয়ে চলেছেন। আদালতে কথায় সম্মান প্রদর্শন করেননি।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমএইচ