ভোটারদের গোলকধাঁধায় ফেলতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ইসি: রিজভী
২৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ভোটারদের গোলকধাঁধায় ফেলতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্তাব্যক্তিরা বিভ্রান্তিকর কথা-বার্তা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল রিজভী। রোববার (২৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এর আগে শনিবার (২৭ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা খুলনায় বলেন, ‘সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার হবে।’এছাড়া ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে ৮৪ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনবে নির্বাচন কমিশন— এগুলো শহর এলাকায় ব্যবহার করা হবে।’
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম রংপুরে বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করা হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।’
এসব বক্তব্যের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কতিপয় আত্মা বিক্রি করা লোকজনদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এরা সমস্ত শক্তি দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার চিরদিনের জন্য হরণ করে নিতে শেখ হাসিনার মনোবাঞ্ছা পূরণে নিরন্তর কাজ করছে। একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করার জন্য ভোটারদের গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলতে কমিশনের কর্তাব্যক্তিরা এসমস্ত বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন। আসলে ইভিএম এর নামে মহা জালিয়াতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কয়েকজন কমিশনারকে সরকারের একনিষ্ঠ সেবক আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, ‘এদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের বিরোধিতা করছেন। অথচ সেই ইভিএম পদ্ধতিই ব্যবহার করতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে সীমিত আকারের কথা বলা হলেও আরপিও সংশোধন করে তারা ব্যাপকভাবেই আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে। ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী একতরফা নির্বাচন করতে সব অস্ত্র ব্যবহার করছেন, যাতে তার ক্ষমতায় থাকাটা নিষ্কন্টক হয়। এই কারণে তার আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন দিয়ে জালিয়াতির বাক্স ইভিএম চালু করতে চাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, “ভোট কেন্দ্রে সবার চোখের সামনে পুলিশের সহায়তায় সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের ভোট ডাকাতি দেখার পরও শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইভিএম পদ্ধতি চালু করবেন, এটি শিশু ও পাগল কেউ-ই বিশ্বাস করবে না। শুধুমাত্র নৌকার পক্ষে ‘ডিজিটাল ভোট-ডাকাতি’করতেই এই ইভিএম ব্যবহারের তোড়জোড় চলছে।”
‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস কারাগারে প্রচণ্ড জ্বরে চোখ মেলতে পারছেন না, ডায়াবেটিস অত্যাধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। শারীরিকভাবে প্রচণ্ড খারাপ অবস্থার মধ্যে কাতরালেও জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করছে না। অবহেলা ও উপেক্ষায় শিমুল বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থা চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে। আমি অবিলম্বে শিমুল বিশ্বাসের সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি’— বলেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আবেদ রাজা, হাসান জাফরি তুহিন, মুনির হোসেন, আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/এমও